বিকট শব্দে ধ্বংসস্তূপে পরিণত পৌর ভবন

আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের সাত তলা পৌর ভবন। নিমেষেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ভবনটি। বিস্ফোরণের আঘাতে আশপাশের কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তবে তারা ধারণা করা হচ্ছে, জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। তবে নাশকতার বিষয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে না। সবকিছু তদন্তের পরেই জানানো সম্ভব হবে বলছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।

বিস্ফোরণের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে শরিফুল নামের এক যুবক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিকট শব্দে যখন বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন আশপাশে ব্যাপক ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়ে আগুন লেগে যায়। বিস্ফোরণের কারণে সেই ভবনের গ্লাসগুলো আমাদের পাশের ভবনে এসে পড়ে। ওই ভবনে যেসব সাইনবোর্ড ছিল, সেগুলো উড়ে এসে রাস্তায় আমাদের সামনে এসে পড়ে।’

অন্য একটি ভবনের দোকানের কর্মচারী তারেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যখন আহত লোকজনকে বের করা হলো, দেখলাম অনেকের হাতের অংশ ছিল না। অনেকের চেহারা বীভৎস হয়ে গিয়েছিল, চেনা যাচ্ছিল না।’

বিস্ফোরণের খবর শোনার পরপরই সেই ভবনের সামনে বেড়ে যায় উৎসুক জনতার ভিড়। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনতাকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়ে দিলেও তারা আবারও এসে ভিড় করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান আহতদের দেখতে।

এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, এটি গ্যাসজনিত বিস্ফোরণ নাকি নাশকতা, বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ দল এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে। ভবনটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে। তাদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিয়োজিত রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লাশের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। হতাহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১১টি ইউনিট। কিন্তু উদ্ধারকাজ বন্ধ আছে। কারণ ওই ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় আগামীকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।