Strike: বন্ধ ট্রেন, স্তব্ধ স্কুল, সরকারি নীতির বিরুদ্ধে মহা-ধর্মঘট ফ্রান্সে

শোভিত গুপ্তা

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্য়াক্রনের পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে এবার রাস্তায় নামল ফরাসি ইউনিয়ন। সেই আন্দোলনের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে ফ্রান্সের পরিবহণ ব্যবস্থা। একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে। জ্বালানি সরবরাহতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে চলছে ৬দিনের ধর্মঘট। তার জেরে স্কুলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 

এদিকে এই পেনশন নীতি সংস্কারকে কেন্দ্র করে সরকার কার্যত মারাত্মক সংকটে পড়েছে। মার্চের শেষের দিকে পার্লামেন্টে এই নীতি গৃহীত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ধর্মঘটী সংগঠনগুলির দাবি, টানা ধর্মঘট চলবে। এই নীতি সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে। তৈল শোধনাগার আর রেলপথেও এর প্রভাব পড়বে।

আরটিএল রেডিওকে ইউনিয়নের নেতা ফ্রেডেরিক এস জানিয়েছেন, এই সংস্কার না প্রত্যাহার করা পর্যন্ত আমরা থামছি না। এটা টানা চলবে। 

এদিকে যারা আবর্জনা পরিষ্কার করে, ট্রাক চালান তারাও এবার ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। একের পর এক সেক্টরে ছড়িয়ে পড়ছে ধর্মঘটের বার্তা। তার জেরে ক্রমেই স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে কাজকর্ম। আগের স্ট্রাইকের মতো এবারও বিদ্যুতের উৎপাদনেও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। একাধিক তৈল শোধনাগারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। জ্বালানি সরবরাহ ঠিকঠাক হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাঁদের কাজে যোগ দিচ্ছেন না। 

গোটা ফ্রান্স জুড়ে এবার মিছিল করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। গত ৩১ জানুয়ারি যে মিছিল বের হয়েছিল তাতে অন্তত ১.২৭ মিলিয়ন মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।

একাধিক জায়গায় ছাত্ররা স্কুলে যাওয়ার রাস্তা আটকে দিচ্ছে। শ্রমিক, কর্মচারীরা একাধিক শিল্প তালুকে অবরোধ করা শুরু করেছেন। ক্রমেই সুর চড়ছে ধর্মঘটে। সর্বাত্মক হচ্ছে ধর্মঘট।

যৌথ বিবৃতিতে দেশের প্রধান শ্রমিক সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, সবাই সংগঠিত হোন। ফ্রান্সকে একেবারে স্তব্ধ করে দিতে হবে।

এদিকে এই ধর্মঘটের জেরে পর্যটকদের অনেকে সমস্য়ায় পড়েছেন। একাধিক ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্যারিস মেট্রো চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ইন্টারসিটি ট্রেনেও প্রভাব পড়েছে। 

এক রেলকর্মী জানিয়েছেন, আমি কাজে যেতে চাই। কিন্তু যেতে পারছি না। তবে ওরা যে দাবির ভিত্তিতে এই ধর্মঘট করছে তাকে আমি সমর্থন করছি। এদিকে ওপিনিয়ন পোলে দেখা যাচ্ছে সংখ্য়াগরিষ্ঠ লোকজন এই সংস্কারকে মানতে পারছেন না। তবে সরকারের তরফে বলা হচ্ছে এই পেনশন স্কিমের সংস্কার করা অত্যন্ত দরকার।