অল্প আলাপেই ৫০ লাখ ধার দিয়েছিলেন কুন্তল, শোধ করেননি সোমা, কারণ জানলে চমকে যাবেন

নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক নাম সামনে আসছে ক্রমশ। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন সোমা চক্রবর্তী। অভিযোগ উঠেছে ওই সোমা চক্রবর্তীর সঙ্গে নাকি পরিচয় ছিল ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। শুধু তাই নয়, অল্প দিনের আলাপেই তিনি নাকি সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন। ধার বাবদ সেই টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। কুন্তলের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখে এমনটাই জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে সেই সোমা চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে ইডি। ফের কাগজপত্র নিয়ে তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ৫০ লক্ষ টাকা সোমাকে ধার বাবদ দিয়েছিলেন কুন্তল। সেটাও আবার ২০১৭ সালে। তারপরেও কেন সেই টাকা ফেরৎ দিলেন না তিনি? 

এনিয়ে একটি বাংলা টিভি মিডিয়া সোমা চক্রবর্তীর মুখোমুখি হয়েছিল। দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে তিনি কথা বলেছিলেন সেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির সঙ্গে। সেখানে তিনি টাকা নেওয়ার কথা কবুল করেছেন। 

সোমা জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে তাঁদের মধ্য়ে বন্ধুত্ব ছিল। সেই নিরিখে তাঁকে ৫০ লাখ টাকা ধার হিসাবে দিয়েছিলেন কুন্তল। ব্যাবসার ধার হিসাবেই তিনি এই টাকা দিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর একটা ক্রাইসিস চলছিল। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন ৫০ লক্ষ টাকা ধার দিলেন কুন্তল। অথচ সেই টাকা এখনও ফেরৎও দিলেন না সোমা? ব্যাপারটা কী? 

সেই প্রশ্নের উত্তরে সোমা সেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকে কুন্তলের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না।তাছাড়া কোভিড পরিস্থিতি শুরু হয়ে যায়। সেকারণেই আর টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়নি। তিনিও আর কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন তিনি ব্যাবসা করে খান। তাঁর নেল আর্টের পার্লার রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তিনি ব্যাঙ্ক থেকে এই বিপুল টাকা ধার না নিয়ে কুন্তলের কাছ থেকে ধার নিলেন কেন? এনিয়ে সোমার দাবি, ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্কের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও ব্যবসার টাকা নেন। 

গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, কুন্তলের সঙ্গে কলকাতার অভিজাত ক্লাবে দেখা হয়েছিল সোমার। তারপর তাঁদের মধ্য়ে যোগাযোগ তৈরি হয়। আর সেই যোগাযোগের সূত্র ধরেই কুন্তলের কাছ থেকে বিপুল টাকা নিয়েছিলেন সোমা। তবে কুন্তল অবশ্য় আগেই জানিয়েছেন, আমি তাকে চিনি না। কার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল খুঁজে দেখুন।

আর সোমা বলছেন, এসএসসি কেলেঙ্কারির ব্যাপারে কিছুই জানি না। এনিয়ে তিনি কিছু জানেন না। এবার কে সত্যি, কে মিথ্য়ে বলছেন সবটাই দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।