‘সুপার-ফ্লপ’ কলকাতার গঙ্গা আরতি! লোকজনের দেখা নেই, খরচ সামলাবে কে?

বৃহস্পতিবার থেকে বাজে কদমতলা ঘাটে শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয়েছে এই গঙ্গা আরতি। মুখ্যমন্ত্রীই গঙ্গার ঘাটে আরতি করার পরিকল্পনা সকলের সামনে এনেছিলেন। দিন কয়েক হল সেই আরতি শুরুও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে পুরসভার অন্দরে। মূলত স্থানীয় সূত্রে খবর, গঙ্গা আরতি দেখার লোকজন সেভাবে আসছেন না। নিয়মিত সন্ধ্যায় আরতি দেখার জন্য বেনারসের ঘাটের মতো লোক উপচে পড়ছে কলকাতার ঘাটে, ব্যাপারটা একেবারেই তেমনটা নয়। স্থানীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই রোজকার গঙ্গা আরতির ধারাবাহিকতা কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। 

গত সপ্তাহে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় গঙ্গা আরতির সূচনা করেছিলেন। তার আগে বাজে কদমতলা ঘাটে এই আরতিকে সফল করতে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়। গাছ বসানো, গঙ্গামূর্তি তৈরি করা,মন্দির তৈরি সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। একেবারে বেনারসের কায়দায় গঙ্গা আরতি। এদিকে ওই ঘাটে গাছ বসাতেই অন্তত তিনলক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। ওই ঘাটে আরতি চালিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকাকে আলোকিত করে তোলা হয়েছে। তার জন্য় যে ব্যয় সেটিও বহন করবে কলকাতা পুরসভা। তবে ওখানকার পুরোহিত বা আরতি চালিয়ে যাওয়ার যে বিপুল খরচ সেটি প্রাথমিকভাবে সরকার বা পুরসভা বহন করবে না বলেই খবর। 

আসলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে পুরসভার উপর এমনিতে খরচের বোঝা। তার উপর যদি আরতি করার খরচও বহন করতে হয় তবে সমস্যায় পড়তে হতে পারে পুরসভাকে। তবে এক্ষেত্রে বেহালার একটি মন্দির কমিটি এই আরতি করার খরচ বহন করবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা একটাই এখানে আরতি দেখার জন্য লোক বিশেষ হচ্ছে না। অনেকের মতে, ছুটির দিনে বা সপ্তাহে দুদিন আরতির ব্যবস্থা করলে তবু লোকজন হত। কিন্তু রোজ আরতি দেখার মতো লোকজন সেভাবে হচ্ছে না। 

তাছাডা় স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কলকাতার গঙ্গার ঘাটের আরতিকে বেনারস বা ঋষিকেশের সঙ্গে তুলনা করার কোনও যুক্তি নেই। কারণ ওখানে দূর দেশ থেকেও পর্যটকরা আরতি দেখার জন্য আসেন। কিন্তু কলকাতার গঙ্গার ঘাটে আরতি সবে শুরু হয়েছে। এটি জনপ্রিয় হতে আরও সময় লাগতে পারে। পাশাপাশি কলকাতার গঙ্গা আরতি সুপার ফ্লপ হওয়ারও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তার থেকেও বড় প্রশ্ন রোজকার খরচ যোগাবে কে?