Nepal PM Prachanda: ‘৫০০০ জনকে খুনের দায় আমার’, প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডর স্বীকারোক্তির পরই মামলা নেপালের SC-তে

মাওবাদী জঙ্গি থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী। পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ডর জীবন অতি বর্ণময়। এহেন প্রচণ্ডর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল নেপালের সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় ‘স্বীকার’ করে নেন যে দেশের পাঁচ হাজার জনের মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী। প্রধানমন্ত্রীর এহেন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পরই রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে নেপালের সর্বোচ্চ আদালতে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক দশক ধরে মাওবাদী বিদ্রোহের সময়কালে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বিভিন্ন হামলায়। সেই মাওবাদী হামলার নেপথ্যে ছিলেন প্রচণ্ড। পরবর্তীতে রাজনীতির মূল স্রোতে ঢোকেন মাওবাদীরা। প্রচণ্ড এখন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে মাওবাদী হামলার ক্ষত এখনও ঘুমোতে দিচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে প্রচণ্ডর বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। (আরও পড়ুন: ‘আমার বাবা এই ভারতকে চিনতে পারতেন না’, রাহুলকে বললেন ‘RSS সদস্যের মেয়ে’ মালিনী)

জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে প্রচণ্ডর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট জ্ঞানেন্দ্র আরান এবং অন্যান্য মাওবাদী বিদ্রোহের শিকার পরিবার। কল্যাণ বুধাথোকির আরও একটি রিট পিটিশনের রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ায় চলছে। এই নিয়ে গত শুক্রবার বিচারপতি ঈশ্বর খাতিওয়াদা এবং হরি কৃষ্ণ ফুয়ালের বেঞ্চ আদালত প্রশাসনকে এই দুজনের রিট পিটিশনগুলি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মাঘি উৎসবে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রচণ্ড বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১৭ হাজার মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এটা সত্য নয়। তবে সংঘাতের সময় ৫ হাজার মানুষ হত্যার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি আমি।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, সেই সময়কালে ১২ হাজার মানুষকে খুন করেছিল তৎকালীন শাসক। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল মাওবাদী সংঘাত। সরকারি ভাবে ২০০৬ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি পর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় সেই সংঘর্ষ।

এদিকে গত সপ্তাহেই ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল’ (মাওয়িস্ট সেন্টার)-এর নেতা প্রচণ্ডের সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে চিনপন্থী কেপি ওলির সিপিএন (ইউএমএল)। তবে এখনই সরকার পড়ছে না প্রচণ্ডর। ২৭৫ আসন বিশিষ্ট নেপালের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের বৃহত্তম দল নেপালি কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী চার দলের সমর্থন রয়েছে প্রচণ্ডের সঙ্গে। ২৭৫ আসনের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের বৃহত্তম দল নেপালি কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৮৯। ওলির সিপিএন (ইউএমএল)-এর সদস্য সংখ্যা ৭৯, প্রচণ্ডের সিপিএন (মাওয়িস্ট সেন্টার)-এর সদস্য ৩২। আরএসপির ১৯, রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির ১৪, জনতা সমাজবাদী পার্টির ১১ এবং ২৩ জন নির্দল সদস্য রয়েছেন নেপালি সংসদের নিম্নকক্ষে।