নারী দিবসে একই স্ত্রীকে আবার বিয়ে করলেন মুসলিম আইনজীবী, কারণটা জেনে নিন

কেরলের কাসারগড় জেলায় এক মুসলিম দম্পতি স্পেসাল ম্যারেজ অ্যাক্টে ফের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। তাদের তিন মেয়ের সম্পত্তির অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য় এটা করার উদ্য়োগ তারা নিয়েছেন। বিয়ের ২৯ বছর পরে ফের সেই আগের বিয়েকে পুননর্বীকরণ করলেন তারা। কেন? 

আইনজীবী তথা অভিনেতা সি শুক্কুর ফের তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সীমা মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রো ভাইস চ্যান্সেলার। নারী দিবসেই তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন আবার। 

এদিকে পাশ্চাত্য়ের কিছু দেশে দেখা যায় অনেক সময় ফের বিবার বন্ধনের আবদ্ধ হন দম্পতি। মানে একই বিয়েকে ফের নবীকরণ করেন। কিন্তু এবার কেরলে যেটা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অন্য কারণে। মুসলিম ইনহেরিটেন্সে আইনের কিছু শর্তের জেরেই তারা আবার বিয়ে করেছেন বলে খবর। 

সেই আইনে বলা হয়েছে,বাবার সম্পত্তির মাত্র দুই তৃতীয়াংশ পাবে তাদের মেয়েরা। বাকিটা তাদের ভাইয়ের কাছে চলে যাবে। কোথাও যদি পুরুষ উত্তরাধিকারী না থাকে তবে এটাই হবে। 

এদিকে ওই দম্পতি ২৯ বছর আগে প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন। ফের তারা বিয়ে করে অর্থাৎ বিয়েটি পুনরায় নথিভুক্ত করলেন। এরপর ফেসবুক পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, এর আগে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর নিকট আত্মীয়রা কম বয়সে মারা গিয়েছেন। এরপরই তিনি ভাবতে শুরু করেন তাদের মেয়েদের জন্য় তারা কী রেখে যাচ্ছেন। তিনি কি তাঁদের সবটা মেয়েদের দিয়ে যেতে পারবেন। সেটা নিশ্চিত করার জন্য় তারা ফের বিয়েটিকে নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। 

কারণ তাদের মতে মুসলিম পার্সোনাল ল অনুসারে তারা জানতে পারেন বাবার সম্পত্তির মাত্র দুই তৃতীয়াংশ পাবে তাদের মেয়েরা। বাকিটা তাদের ভাইয়ের কাছে চলে যাবে। কোথাও যদি পুরুষ উত্তরাধিকারী না থাকে তবে এটাই হবে। এরপরই তারা তাদের বিয়েকে পুননর্বীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। 

এর সঙ্গেই তিনি তার পোস্টে জানিয়েছেন, শরিয়ৎ আইন অনুসারে উইল করে যাওয়াটাকে অনুমোদন করা হয় না। আসলে শুধু মেয়ে হওয়ার জন্য় তারা তাদের বাবার সম্পত্তির পূর্ণ অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। সেকারণে তাঁদের বাবা মা আর কোনও ঝুঁকি নিতে পারেননি। তারা ফের এসএমএর আওতায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেক্ষেত্রে হয়তো তাদের মেয়েরা তাদের সম্পত্তির সব অধিকার পাবেন। নারীদিবসে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত।