Anubrata Mondal: ‘‌‌আপনি কি কেষ্ট মণ্ডল?‌’ হুবহু চেহারার মিল হওয়ায় বেজায় অস্বস্তিতে মাছ ব্যবসায়ী

দেখতে এক হলেও আসলে তিনি আলাদা মানুষ। তবে চেহারার সাদৃশ্য তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর বাজারে এসে তাঁকে অনেক ক্রেতাই জিজ্ঞাসা করছেন, ‘‌আপনি কি কেষ্ট মণ্ডল?‌’‌ এই প্রশ্ন শুনতে শুনতে মাথা গরমও হয়ে যাচ্ছে তাঁর। কিন্তু বিধাতার সৃষ্টি, তিনিই বা কি করবেন!‌ গরু পাচার মামলায় নয়াদিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। আর মাছ বাজারে পা ছড়িয়ে বসে এক ভদ্রলোক মাছ বিক্রি করছেন। হুবহু অনুব্রত মণ্ডলের মতোই দেখতে। একইরকম তাঁর ঝুপো গোঁফ রয়েছে। তবে চেহারা ভারী নয়। এই ছবি পোস্ট করে অনেকে লিখেছেন, ‘কেষ্ট যখন রোগা ছিলেন!’

ব্যস, এই ছবি আর তার সঙ্গে ক্যাপশন গোটা রাজ্যে চর্চা হতে শুরু করেছে। কারণ অতীতে মাছ বিক্রি করতেন অনুব্রত মণ্ডল এবং পরে তাঁর রাজনৈতিক উত্থান হয়। সেই অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শেওড়াফুলির মাছ বাজারের বিক্রেতা সুকুমার হালদারের চেহারার হুবহু মিল রয়েছে। আর তাতেই তাঁকে বিড়ম্বনায পড়তে হচ্ছে। ক্রেতারা সরাসরি প্রশ্ন করছেন, আপনি কি অনুব্রত মণ্ডল?‌ কেউ বলছেন, কেষ্ট তো?‌ আর এই সব প্রশ্ন শুনে তিনি রেগে গিয়ে বলছেন, ‘‌আমি কেষ্ট মণ্ডল নই, সুকুমার। এবার কি ছাতিতে সাঁটিয়ে ঘুরব?‌’‌

এদিকে যত তিনি রেগে যাচ্ছেন তত প্রশ্নবাণও ধেয়ে আসছে। শেওড়াফুলি মাছ বাজারে গত ৩০ বছর ধরে মাছ বিক্রি করেন সুকুমার হালদার। আর তাঁকেই দেখতে অনুব্রত মণ্ডলের মতো। বিধির বাঁধনে এখন তিনি বিদ্ধ। এখানেরই নিমাইতীর্থ ঘাটে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন সুকুমার। প্রত্যেকদিন সকালে মাছ বাজারে এসে মাছ বিক্রি করেন। আর সুকুমার আঁশ বটি নিয়ে বসে মাছ বিক্রি করার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সে কথা এখন তাঁর কানেও পৌঁছেছে। ত্রেতাদের প্রশ্নবাণে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন এবং ক্ষুব্ধও তিনি।

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আঁশ বটি নিয়ে পা ছড়িয়ে বসে মাছ বিক্রি করছেন সুকুমার হালদার। আর কেউ তাঁর সেই ছবি তুলে অনুব্রত মণ্ডল বলে নেটপাড়ায় প্রচার করেছেন। এই ঘটনায় মাছ বিক্রেতা সুকুমার হালদার রেগে আগুন। তিনি বলেন, ‘‌কোনওদিন ভাবিনি সুকুমার–অনুব্রতর চেহারায় মিল থাকতে পারে। কিন্তু ভাইরাল ছবিটা দেখে আমিও অবাক। সত্যি এত মিল! যে বা যাঁরা এই কাজটা করেছে তাঁদের শাস্তি হওয়া দরকার। আমাকে না জানিয়ে এমন ছবি তুলে ভাইরাল করেছে। মানুষ তাঁদের শাস্তি না দিলে ঈশ্বর দেবে। ওই চোরটার সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। যাঁরা করছে তাঁদের ঝ্যাঁটা মারব। আমার অজান্তে ছবি তুলে তা ভাইরাল করে দেওয়া আইনত অপরাধ।’‌