More than 1000 Dogs death: ঘরে মৃত কুকুরের পাহাড়! বীভৎস হত্যার কারণ কী? জেরার মুখে বৃদ্ধের উত্তরও ভয়ানক

ঘরটিতে ঢুকতেই দেখা গেল শয়ে শয়ে কুকুরের মরদেহ। একটি দেহের উপর আরেকটি, তার উপর আরেকটি এভাবে তৈরি হয়েছে মৃত কুকুরের পাহাড়। এটি কোনও পশু ভাগাড়ের দৃশ্য হলে তাও মানা যায়।‌ কিন্তু ব্যস্ত শহরের মাঝে একটি বাড়িতেই এমন দৃশ্যের সাক্ষী হল সারা বিশ্ব। এত কুকুরের মৃতদেহ থাকার কারণ কী? তদন্ত করে জানা যায়, সেই বাড়ির বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ রয়েছে এই নিধনযজ্ঞের নেপথ্যে। দীর্ঘদিন ধরে পোষ্যদের না খাইয়ে রেখে মেরে ফেলাই নাকি তাঁর কাজ! আর সেভাবেই জমেছে এই মৃতদেহের উঁচু পাহাড়! কীভাবে উদ্ধার হল এই গোপন কারবার? স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার পোষ্য উধাও হচ্ছিল কিছুদিন ধরেই। তাদের খোঁজ করতে করতেই সন্ধান মেলে এই বাড়ির। আর বাড়ির ভিতর পুলিশ যেতেই এই নারকীয় দৃশ্য!

আরও পড়ুন: জোম্যাটোতে অর্ডার দিচ্ছিলেন ভাং, জানতে পেরেই একহাত নিল দিল্লি পুলিশ

আরও পড়ুন: এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়া ত্রাস? ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশির নেপথ্যে নয়া কালপ্রিট

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংপিয়ং শহরের একটি বাড়ির ভিতর দেখা গেল এই নারকীয় দৃশ্য। জেরায় ওই বৃদ্ধ স্বীকার করেন, তিনি রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত কুকুরদের তুলে আনতেন। তারপর দিনের পর দিন না খাইয়ে রেখে মেরে ফেলতেন। অন্যদিকে প্রাণী অধিকার নিয়ে কর্মরত একটি সংস্থার মতে, কুকুরচাষীরা তাকে প্রতি কুকুর পিছু আনুমানিক ৬.৪২ ইউরো করে দিত। টাকা দেওয়ার কারণ একটাই। যে কুকুরগুলির আর প্রজননক্ষমতা নেই, তাদের মেরে ফেলা! এছাড়াও ক্রেতাদের যে সব কুকুর পছন্দ হত না, তাদেরও একই গতি হত।

আরও পড়ুন: শশা খান? এর পরের বার খাওয়ার আগে এই লেখাটি পড়ে নিন, আপনার কাজে লাগবে

আরও পড়ুন: গোপনাঙ্গে খুব সমস্যা, লিঙ্গটাই কেটে বাদ দিলেন চিকিৎসক! ক্ষুব্ধ রোগী যা করলেন

প্রাণী অধিকার নিয়ে কর্মরত সংস্থা কেয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বিরূদ্ধে প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, পোষ্য বা প্রাণীদের নিগ্রহে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তিন বছরের জেল হয় অথবা ৩০ মিলিয়ন ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) জরিমানা দিতে হয়। যা প্রায় ১৯ হাজার ইউরোর সমান।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup