Actor Sameera Reddy’s Fitness Mantra: সমীরা রেড্ডির ফিটনেসের মন্ত্র কয়েকটা পেস্তা! জানুন বিস্তারিত

মডেল অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি। ৯০ দশকের সকলের মনে রাজ করতেন তিনি। ২০০২ সালে ‘ম্যনে দিল তুঝকো দিয়া’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে যাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। তারপর আর কী? একের পর এক রোমান্টিক অ্যাকশন ফিল্মে তাঁকে দেখা যায়। ২০১৪ শুরু হয় নতুন পথ চলা। বিবাহ করেন অক্ষয় ভারদাকে।

দুই সন্তানের মা সমীরা রেড্ডি। মাতৃত্বকালীন ওজন বৃদ্ধি তাঁকে ফেলেছিল এক নতুন চ্যলেঞ্জের মুখে। তবে মাতৃত্বকালীন কোনও বিষয়কে তিনি অবহেলা করেননি। এই সময় তাঁর ওজন বেড়ে হয় ১০৫ কেজি। চ্যালেঞ্জের সঙ্গে ওজন কমানোর জন্য শুরু করেন ওয়ার্ক আউট।

বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোলাখুলি বলতে তিনি ভালোবাসেন। তাঁর ওজন কমানোর তালিকায় কী আছে যানেন? জানলে আপনিও চমকে যাবেন। সমীরা ফিটনেস রুটিন তৈরি করেছেন নিজেকে একজন কর্মজীবি মহিলা ও  মায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। তিনি তাঁর বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। মেয়েকে তাঁর ওপর বসিয়ে ফ্লাটার কিক করে সকলকে দিয়েছেন চমকে। তিনি বলেছেন ‘আমি আমার শরীর, স্বাস্থ্য, সুখ, ও মনকে বিনিয়োগ করেছি’।

শরীরি ফিটনেস যাতে বোরিং না হয় সেইজন্য ফিটনেসের সঙ্গে যোগ করেছেন নানা মজাদার খেলা। সর্বদা বজায় রাখেন তাঁর ইতিবাচক চিন্তাকে। ছেলে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে, সাইকেলিং করতে, এবং ঘুমোতে ভালোবাসেন। তিনি বলেছেন আমার অর্ধেক ওয়ার্ক আউট হয়ে যায় বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করে, মজা করে। এমনকী, সমীরা বলেন যে তাঁর সুস্থতা বজায় রাখার গোপন মন্ত্র হল ঘুম এবং সময় মতো খাবার খাওয়া। এই নিয়মগুলি তিনি প্রতিদিন অনুসরণ করে থাকেন।

আরও আরেকটি জিনিস থাকে তাঁর রোজকার ডায়েটের রুটিনে। পেস্তা! পেস্তা খেতে খুবই ভালোবাসেন তিনি। পেস্তার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর বাবার মাধ্যমে। শৈশবের কথা মনে করতে গিয়ে তিনি জানান- কীভাবে তাঁর বাবা রোজ তাঁকে পেস্তা খাওয়াতেন। সেটি যে একটি ভালো অভ্যেস হয়েছিল তা তিনি আজ বোঝেন। সমীরা বলেন ‘যখন আমি প্রেগনেন্ট ছিলাম আমার বাবা আমাকে বলতেন কীভাবে পেস্তা আমাকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করবে’।

পেস্তা প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুপারফুড। পেস্তার মধ্যে আছে ভিটামিন বি৬। এটি শরীরে ৩৭% প্রটিন সরবরাহ করে। পেস্তা ক্যলোরির পরিমাণ অল্প ফলে শরীরে মেদ জমতে দেয় না। এর মধ্যে থাকা ফাইবার সহজে হজম করায়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম ডায়েট।

অতিরিক্ত মোটা পুরুষ ও মহিলাদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) কমাতে সাহায্য করেছে। অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রেও, পেস্তা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। যার ফলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমে। ২০২০ সালে এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে পেস্তা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়।

সমীরা বলেন এই সকল গুণের কারণে তাঁর বাচ্চাদের তিনি পেস্তা দিয়ে থাকেন। বাচ্চারা যখন স্কুল থেকে ফিরে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। খাওয়ার জন্য বায়না করে তখন সে তাদের পেস্তা, শুকনো ফল দেয়। সমীরার মেয়ে তার মতোই পেস্তা খেতে ভালোবাসে। বাবার মতো সমীরা নিজের বাচ্চাদের পেস্তার স্বাদের সঙ্গে অভস্থ্য করে তুলতে চান।

যেহেতু পেস্তা ওয়ার্ক আউটের জন্যও প্রয়োজন তাই তিনি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এটি রাখেন। সমীরা বলেন তাঁর ব্যাগে অন্য খাবার না থাকলেও শুকনো ফল পেস্তার প্যাকেট অবশ্যই থাকবে।