ভারতীয় প্রেমিককে বিয়ে করতে ২৫ বছর পথ চেয়ে বসে আছেন পাকিস্তানি তরুণী, ভিসা মেলেনি

কথা ছিল সেই ১৯৯৩ সালে ভারতীয় যুবককে বিয়ে করে এদেশে আসবেন এক পাকিস্তানি তরুণী। কথা ছিল পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসবেন তিনি। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর ১৯৯৫ সালে ভারতে বিয়ে করেন ওই পাকিস্তানি তরুণীর ভারতীয় প্রেমিক শেখ। এরপর ২০১০ সালে শেখ বোনের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়ে দেখেন সেই পাকিস্তানি প্রেমিকা শাহিদা আজও তার পথ চেয়ে বসে রয়েছেন। 

এতগুলো বছরের অপেক্ষা। বার্মারের বাবু ভাই শেখকে বিয়ে করার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা।কিন্তু পাকিস্তানের হায়দরাবাদ শহর থেকে রাজস্থানে আসার জন্য় তিনি কিছুতেই ভিসা পাচ্ছেন না। এরপর শেখ ভারতে চলে আসেন। এরপর তিনি জয়শলমীরে একজনকে বিয়ে করেন। 

তবে তার বহুদিন পরে তিনি জানলেন শাহিদা এখনও তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। এদিকে ২০১৭ সালে শেখ শাহিদাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপর থেকে আর ভারতে আসার জন্য তিনি শাহিদার ভিসা পাননি। শাহিদার ভিসা পেতে বার্মারের বিজেপি এমপি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরীর দ্বারস্থ হয়েছেন শেখ। 

তিনি জানিয়েছেন বিদেশ দফতরকে বিষয়টি দেখার জন্য় তিনি অনুরোধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই এনিয়ে তিনি বিদেশ দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। যাতে ওই দম্পতি একসঙ্গে বাস করতে পারেন। এর সঙ্গেই তিনি শেখকে ফের ভিসার জন্য় আবেদন করতে বলেছেন। এদিকে শেখের বয়স এখন ৫৬ বছর।

শেখ জানিয়েছেন,  ২০০০ সালে তিনি প্রথম জানতে পারেন শাহিদা তার জন্য় এখনও অপেক্ষা করছে। সেই সময় তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।  আমি বিয়ে করেছি এটা জানতে হয়তো সে খুব বিচলিত হয়ে যাবে, এটাই ভেবেছিলাম। এদিকে শেখ সেবার শাহিদার সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি বোনকে বলেছিলেন শাহিদা যেন বিয়ে করে নেয়। কারণ ভারতে তিনি বিয়ে করেছেন। তার বাচ্চাও আছে। 

তবে শেখ জানিয়েছেন,  এত বছর ধরে শাহিদা অপেক্ষা করে থাকবে এটা ভাবতেই পারছি না। তার পরিবারকেও জানাই শাহিদার বিয়ে দিয়ে দিন। কিন্তু সে আমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবে না। এরপর ২০১৭ সালে তিনি শাহিদাকে বিয়ে করেন। এবার সে কবে ভারতে আসবে, কবে সে ভিসা পাবে তার জন্য় অপেক্ষা করছেন তিনি। 

শেখ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ভারতীয় ভিসার জন্য় আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসে সেটি আটকে রয়েছে। এটা ঠিক আমাদের ভাগ্যের মতোই।