Adenovirus: বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যু অব্যাহত, এবার সংখ্যাটা পৌঁছল কোথায়?‌

অ্যাডিনোভাইরাস আতঙ্কে এখন গোটা বাংলা তোলপাড়। শিশুমৃত্যু অব্যাহত রয়েছে শনিবারও। এবার বিসি রায় হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল বলে খবর। আর তার জেরে আতঙ্কিত বাবা–মায়েরা। শনিবার ভোররাতে আবার একটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে গত দুই মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৩৭ জন শিশুর।

এদিকে একের পর এক শিশুর মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। শহর কলকাতার হাসপাতালগুলিতে শিশুরা জ্বর–সর্দি–কাশি নিয়ে ভিড় করছে। তার জন্য জেলা থেকে রেফার করা রোগীর দিকে আঙুল উঠছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়তি উদ্যোগ নিতে বলেছেন চিকিৎসকদের। এমনকী জেলা থেকে শহর অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে শিশুদের চিকিৎসার জন্য।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। গত ন’দিন ধরে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। বনগাঁ হাসপাতাল থেকে তাকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল তাকে। পরিবারের দাবি, জ্বর–সর্দি–কাশি এবং শ্বাসকষ্টজজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। শিশুটির মৃত্যুর শংসাপত্রে নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার ভোররাতে বিসি রায় হাসপাতালে বনগাঁর হেলেঞ্চার বাসিন্দা সাত মাসের শিশুর মৃত্যু হয়। গত ৯দিন ধরে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। বনগাঁ হাসপাতাল থেকে তাকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ হাসপাতাল সূত্রে খবর, বনগাঁ হাসপাতালে ওই শিশুটির চিকিৎসা চলছিল। সেখান থেকে রেফার করা হয় কলকাতায়। তার পর আইসিইউ–তে রাখা হয়েছিল। আজ, শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় তার। এই নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে জানুয়ারি থেকে ৫৫ শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতর জাবিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যে ১৯ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চলতি মরসুমে ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। সবথেকে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা। সামান্য সর্দি–কাশিতেই কাবু হয়ে পড়ছে তারা। বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে শিশুদের।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup