Pneumonia: যে-কোনও বয়সেই হতে পারে নিউমোনিয়া, কীকরে বুঝবেন?

নিউমোনিয়া প্রধানত ফুসফুসের রোগ। এছাড়া ব্যাকটিরিয়া, কিংবা ভাইরাসের কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। কখনও কখনও প্রটোজোয়া ঘটিত কারণেও এমন সমস্যা হয়।

প্রধানত এই রোগের শিকার হয় চার থেক পাঁচ বছর বয়সি শিশুরা। প্রাপ্তবয়স্কদেরও এই সমস্যা হতে পারে। মূলত যাঁদের বয়স ৫০-এর ঊর্ধ্বে তাঁদের এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। নিউমোনিয়া হলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে ফুসফুস। অনেক ক্ষেত্রে জল জমতে পারে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি নামের ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়া রোগের অন্যতম কারণ।

নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর, তার সঙ্গে কাশি। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট। মাঝে মাঝে বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এছাড়া মাথার যন্ত্রণা, বমিবমি ভাব, খাওয়ারে অরুচি– এর লক্ষণ।

যে কোনও বয়সের মানুষই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাই বেশি এই রোগে আক্রান্ত হন। চার বছর বা তার কম বয়সের শিশু এবং ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তিদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গবেষকেরা বলছেন শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ২০১৭ থেকে মৃত্যু হয়েছে ৩.৯ মিলিয়ন ব্যক্তির। যা সমস্ত বিশ্বের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ। এক্ষত্রে দেখা গিয়ে যাঁদের বয়স ৫০-এর বেশি নিউমোনিয়ার ঝুঁকি তাঁদের বেশি। ১৯৪৬ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত সমস্যায় মৃত্যুর হার ছিল রেকর্ড।

তাই যে কোনও ভাবে ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতেই হবে। যাঁদের নিউমোনিয়া সংক্রমণের অতিরিক্ত সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ফুসফুসের অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, হৃদ্‌যন্ত্র, লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এমনকি, যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরাও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিউমোনিয়া প্রতিরোধক টিকা নিতে পারেন। এ ছাড়া, ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে দূরে থাকা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সার্বিক ভাবে বাড়িয়ে তোলে।

বয়স্ক ব্যক্তিদের এই বিষয়ে অতিরিক্ত সাবধান হতে হবে। উপসর্গের দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। ভিটামিনের অভাব রয়েছে কিংবা আগে থেকে ফুসফুসের সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান হওয়া দরকার।