Poppy cultivation in Bengal: চিঠি দিয়ে বসে নেই রাজ্য, প্রস্তুতি শুরু সরকারি নিয়ন্ত্রণে পোস্ত চাষের

পোস্ত চাষের অমুমতি চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেই অনুমতির অপেক্ষায় বসে না থেকে চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সরকার। পোস্ত চাষের অনুমতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রে উত্তর সদার্থক হবে ধরে নিয়েই চাষের জন্য খামার চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন,’আমাদের রাজ্যে ১৬০ টি সরকারি খামার রয়েছে। সেই খামারগুলিতে সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণে পোস্তচাষ শুরু করা যেতে পারে।’ কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে বসে নেই নবান্নও। রাজ্যের হার্টিকালচার বিভাগ পোস্তচাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। জল জমে এমন জমিতে পোস্তচাষ হয় না। সেক্ষেত্রে যে সব জমিতে জল জমে না, তেমন খামারগুলি আলাদা করে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,’অন্য রাজ্যে থেকে বাংলার মানুষই বেশি পোস্ত খায়। ফলে এর চাহিদাও সর্বাধিক। বাংলায় যদি পোস্তচাষ হয় তবে কেন্দ্রকে বাইরে থেকে পোস্ত আমদানি করতে হবে না।’

প্রসঙ্গত, দেশের চারটি রাজ্যে পোস্ত চাষের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়া পুণের একটি সংস্থাকে গবেষণার জন্য পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় খাদ্য বাজেট নিয়ে বলতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র দেশের চারটি রাজ্যে কেন অনুমতি দেওয়া হবে? বাংলা কেন অনুমতি পাবে না? অথচ বাংলার মানুষ সবচেয়ে বেশি পোস্ত খায়। তাদেরই চড়া দাম দিয়ে পোস্ত কিনতে হয়। বাংলায় পোস্ত চাষ হলে ১০০ টাকা কেজি দরে পোস্ত খাওয়ানো যাবে।

সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে পোস্তচাষ নিয়ে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কেন্দ্র কাছে অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি ঠিক করা হয়। অনুমতি পেলেই রাজ্যে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পুরোদমে পোস্ত চাষ শুরু করা যায় তার জন্য প্রস্তুত থাকছে রাজ্য।