তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে ‘চোর স্লোগান’, ISF অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শওকতের

রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে ঘিরে উঠল ‘চোর চোর স্লোগান’। গতকাল রাতে এলাকার ফুরফুরা শরিফে ছোট হুজুরের মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন শওকত মোল্লা। সেখান থেকে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ‘চোর চোর স্লোগান’ দেন স্থানীয়দের একাংশ। হঠাৎ কেন তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে চোর স্লোগান উঠল? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও শওকত মোল্লার বক্তব্য, আইএসএফ সমর্থকরা এই স্লোগান দিয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিধায়ক।

বড় হুজুরের মাজার থেকে ছোট হুজুরের মাজারে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর সোমবার জীবনতলায় নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন শওকত। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র তৃণমূল দল করার কারণেই তাঁদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হয়েছে। ফুরফুরা শরিফের এই ঐতিহ্য নয়। এই ঘটনায় কাসেম সিদ্দিকির ভাই উস্কানি দিয়েছে। আইএসএফের মদতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকি, কাশেম সিদ্দিকি, আব্বাস সিদ্দিকির মদতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে ফুরফুরা শরিফের অন্যান্য হুজুরদের বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ভাঙড় বিধানসভার দায়িত্ব পাওয়ার কারণেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আনা হয়েছে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এলাকায় দলের কাজকর্ম চালাবেন আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদরা। একসময় এখানে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ছিল। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকির কাছে তৃণমূলের পরাজয় হয়। মূলত এর কারণ হিসেবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করেছেন অনেকে। 

অন্যদিকে, রবিবার তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ। তিনি বলেছিলেন, ‘নতুন কেউ দায়িত্ব নিয়ে যদি ভাঙড়কে দুর্নাম করতে চায়, ভাঙড়ের নাম খারাপ করে, ভাঙড়ে হানাহানি করে তাহলে কিন্তু আমরা ভাঙড়ের মানুষকে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup