হাওড়ার গোডাউনে লাল চন্দন কাঠ, ধরতে যেতে শুল্ক কর্তাদেরই ‘আটকে রাখল’ পুলিশ

বেআইনি চন্দন কাঠ মজুতের খবর পেয়ে হানা দিয়েছিল শুল্ক দফতর। কিন্তু, অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হল আধিকারিকদের। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের বসিয়ে রাখা হল থানায়। এমনকী পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও তাদের আটকে রাখা হল। পুলিশকর্তাকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। শেষে শুল্ক কমিশনারের হস্তক্ষেপে থানা থেকে ছাড়া পেলেন আধিকারিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার পাঁচলা থানায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে অধিকারিকদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।

শুল্ক দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার পাঁচলার শেখপাড়া গ্রামে একটি মুড়ি কারখানার গোডাউনে তল্লাশি চালানোর কথা ছিল আধিকারিকদের। সেখানেই শুক্রবার রাতে হানা দেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। নেতৃত্বে ছিলেন শুল্ক দফতরের গোয়েন্দা আধিকারিক এ আর রাও। অভিযোগ, খবর পেয়ে পুলিশ এখানে আসে এবং শুল্ক আধিকারিকদের ধরে নিয়ে যায়। 

পুলিশের দাবি, শুল্ক আধিকারিকদের সেখানে হানা দেওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়নি। যদিও শুল্ক অধিকারিকদের বক্তব্য, এ বিষয়ে আগে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পরে শুল্ক আধিকারিকরা সেখানে হানা দেন। সেখান থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৪৭২ কিলো লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার হয়েছে। যার দাম প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, এই সমস্ত চন্দন কাঠ ওড়িশা থেকে নেপাল হয়ে চিনে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। তারজন্য গোডাউনে মজুত করে রাখা হয়েছিল লাল চন্দন কাঠের গুড়ি। এর জন্য গোডাউন মালিককে ৫,০০০ টাকা দিয়েছিল পাচারকারীরা। সেই খবর পেয়ে ওই গোডাউনে হানা দেন আধিকারিকরা। ঘটনায় দুজনকে আটক করেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। পাচারকারীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

এদিকে, মুড়ির গোডাউনে চন্দন কাঠ থাকার খবর জানতে পেরে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের বক্তব্য, এই এলাকায় মুড়ির গোডাউনটি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু সেখানে এতগুলি চন্দনকাঠ বেআইনিভাবে রাখা ছিল, তা তাদের জানাই ছিল না। কখন চন্দনঘাট সেখানে ঢুকত, তা বলতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, সেখানে মুড়ি ভাজার পাশাপাশি চাল এবং ছোলা ভাজা হত। জ্বালানির ফাঁকেই হয়তো চন্দন কাঠগুলি সেখানে রেখে মজুত করা হয়েছিল বলে মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকেই।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup