‘ভোটের আগে দাদাগিরি চলবে না’ দলের নেতাকে হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ

পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর বিধানসভার কেন্দ্রের অন্তর্গত মেমারি ২ নং ব্লকে তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে দলের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর বিবাদ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের দলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন সিদ্দিকুল্লাহ। রবিবার সিদ্দিকুল্লাহর বিরুদ্ধে মিছিল বের করেন মহম্মদ ইসমাইল। এরপরেই প্রকাশ্য জনসভা থেকে পালটা জবাব দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ। তাঁর হুঁশিয়ারি, এভাবে ভোটের আগে দাদাগিরি করা চলবে না।

রবিবার মেমারির দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজুর দুনম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিলবাড়ি গ্রামে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভা থেকে মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু করবে দলের নামে,উ ন্নতি হবে তোমার দলের নামে, বাড়ি হবে তোমার দলের নামে, নেতাগিরি করবে তোমার দলের নামে, আর ভোটের সময় দাদাগিরি করবে! এটা হয়না।’ সিদ্দিকুল্লাহ ছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মেমারি দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হরিসাধন ঘোষ, সহ-সভাপতি অমর সাহা, বিজুর দু’নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীনবন্ধু ঘোষ, পঞ্চায়েত প্রধান বৃন্দাবন ঘোষ ব্লক ও অঞ্চল স্তরে নেতৃত্ব এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ।

২০১৬–এর বিধানসভা ভোটে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এখন ওই জেলারই মন্তেশ্বর কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীও। এর আগেও দুই নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে প্রকাশ্য জনসভায় মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ইসলাইল যদি দল করতে চায়, তাহলে দরজা খোলা আছে। খিড়কি নয়, একটাই দরজা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লোক সভাপতি থাকবে, ছড়ি ঘোরাবে। সেটা হবে না।’

অন্যদিকে, এদিনই মেমারির ঝিকরার সভা থেকে পুলিশকে সাবালক হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে বা যারা মন্ত্রিসভার সদস্য,ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালাগালি করছে আইনের চোখে তারা অপরাধী। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে। পুলিশকে বুঝতে হবে কারা অফিসিয়াল দল। পুলিশ নাবালক নাকি! পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এইসব ভন্ডামি আমি শুনবো না।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup