হয় জামিন দিন, নয় এমন নির্দেশ দিন যেন কাল সকালে ঘুম না ভাঙে, বিচারককে বললেন মানিক

জামিনের আবেদন খারিজ হতে এবার কার্যত স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবি জানালেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বলেন, ‘হয় ছাড়ুন। না হলে এমন অর্ডার দিন যাতে ঘুম না ভাঙে।’

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২৬ অক্টোবর থেকে জেলবন্দি রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বারবার আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে তাঁর। ওদিকে যে কোনও শর্তে জামিন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মানিক। মঙ্গলবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে ভার্চুয়ালি পার্থ – মানিক – অর্পিতাকে আদালতে পেশ করা হয়।

সেখানে মানিক বলেন, ‘ধর্মাবতার আমি মুক্তি চাই। আমার কিছু বলার আছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা ২ ভাগে বিভক্ত। একটি প্রাথমিক, আর একটি উচ্চ প্রাথমিক। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের অধীনে। অথচ ১,০০০ পাতার চার্জশিটে নবম – দশম এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। তাহলে আমি এখানে কী করে এলাম? প্রাথমিকে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের সুযোগ নেই। তাহলে আমি কী করে সেই মামলায় যুক্ত হলাম?’

এর পর মানিক আদালতকে বলেন, ‘স্যার, হয় আমায় ছেড়ে দিন, না হলে এমন অর্ডার দিন যাতে আজ রাতে ঘুমালে কাল সকালে আমার চোখ না খোলে। আমি রাজ্য ছেড়ে যাব না। যদি যেতেই হয় একেবারে…’। বলে আঙুল দিয়ে ওপর দিক দেখান মানিক ভট্টাচার্য।

এদিন মানিকের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, ইডি প্রতিবার মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে বলছে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। তাহলে কেন আটকে রাখা হয়েছে মানিককে। দুপক্ষের সওয়াল শুনে মানিককে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক।