হাল্যান্ডে লণ্ডভণ্ড লাইপজিগ, কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানসিটি

আর্লিং হাল্যান্ডকে গত কয়েক ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে আবারও গোল মেশিন চালু হলো। মঙ্গলবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে তার একার পাঁচ গোলে আরবি লাইপজিগকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিলো ম্যানসিটি। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে দুর্দান্ত জয়ে দুই লেগে ৮-১ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে সিটিজেনরা।

৩ মিনিটের মাথায় ম্যানসিটির আক্রমণ। ডানপ্রান্ত দিয়ে কেভিন ডি ব্রুইনার বক্সে বাড়ানো বল ইকে গুন্ডোগান লক্ষ্যে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাটিতে লাফিয়ে ওঠা বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন।

১১ মিনিটে আকের ডিফেন্স চেড়া বলে ঠিকমতো পা লাগাতে না পারায় গোল পাননি হাল্যান্ড। তার পায়ের পাতায় লেগে এগিয়ে আসা বল সহজে ধরেন লাইপজিগ গোলকিপার ব্লাসউইচ।

২০ মিনিটে রুবেন দিয়াসের লক্ষ্যে নেওয়া শট ঠেকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যে বলে হাত লাগান বেঞ্জামিন হেনরিখ। রেফারি পিচসাইড মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন। শর্ট রান আপে কোনাকুনি নিচু শটে গোলমুখ খোলেন হাল্যান্ড। তাতে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩০ গোলের রেকর্ড গড়েন ২২ বছর ২৩৬ দিন বয়সী স্ট্রাইকার, পেছনে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এছাড়া সবচেয়ে কম ২৫ ম্যাচ খেলে এই গোলের মাইলফলক ছুঁলেন। সব প্রতিযোগিতায় এই মৌসুমে তার এটি ছিল ৩৫তম গোল।

২২ মিনিটে গোল করার ৭৮ সেকেন্ডের মাথায় দুই নম্বর গোল করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। ডি ব্রুইনার শট ক্রসবারে লেগে ফিরলে হেড করে জাল কাঁপান হাল্যান্ড।

বিরতিতে যাওয়ার মুহূর্তে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল দিয়াস হেড করলে ব্লাসউইচ রুখে দেন। তার হাত ফসকে বল পড়ে গোললাইনে। হাল্যান্ড সময় নষ্ট করেননি। আলতো ছোঁয়ায় বল জালে রাখেন। এই মৌসুমের পঞ্চম হ্যাটট্রিক করেন তিনি। 

বিরতি থেকে ফিরে ৪৯ মিনিটে গুন্ডোগান দলের চতুর্থ গোল করেন। গোল উৎসব থামেনি। পাঁচ মিনিট পর কর্নার থেকে বার্নার্ডো সিলভা হাল্যান্ডের দিকে বল পাঠান, দ্বিতীয়বারে চেষ্টায় নিজের চতুর্থ গোল করেন তিনি।

৫৭ মিনিটে ম্যানসিটির আরেকটি গোল, এবারও হাল্যান্ড। লিওনেল মেসি ও লুইজ আদ্রিয়ানোর পর তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে পাঁচ গোল করলেন। একই সঙ্গে ক্লাবের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৯ গোল করলেন তিনি।

৬৩ মিনিটে জন স্টোন্সের বদলে হাল্যান্ডকে উঠিয়ে নেন পেপ গার্দিওলা। এরপর আক্রমণে ধার কমে। তবে ৯২তম মিনিটে ডি ব্রুইনা সপ্তম গোল করেন।

দিনের আরেক ম্যাচে পোর্তোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ইন্টার মিলান। প্রথম লেগ ১-০ গোলে জিতেছিল তারা। দুই লেগের অগ্রগামিতায় ১-০ গোলে শেষ ষোলোর বাধা পার করলো ইতালিয়ান জায়ান্ট, ২০১১ সালের পর প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইন্টার।