Gujarat death sentence: ৩৪ বার ছুরিকাঘাত করে কিশোরীকে খুনের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

বছরখানেক আগে এক নাবালিকাকে ৩৪ বার ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল গুজরাটে। সেই ঘটনায় অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। সোমবার গুজরাটের রাজকোট জেলার জেতপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আর আর চৌধুরী আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ওই যুবকের নাম জয়েশ সারভাইয়া (২৬)। ওই যুবক একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু, ছাত্রীটি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে একের পর এক ছুরির কোপ মেরে খুন করে ওই যুবক।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম সারভাইয়া শ্রুষ্টি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের ১৬ মার্চ। কিশোরী অভিযুক্ত যুবককে মামা বলে ডাকতো। ওই যুবকও তাকে মা বলে সম্বোধন করত। কিন্তু পরে ওই যুবক কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিশোরী স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত ওই যুবক। কিন্তু, কিশোরী তাতে রাজি হয়নি। সে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তখনই কিশোরীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে যুবক। একইসঙ্গে কিশোরীর ভাইকেউ ছুরিকাঘাত করে।

অভিযুক্ত যুবকের কাছে বিচারক তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানায়, দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। কিশোরীকে খুন করার সময় সে একটি গাড়ির গ্যারেজে কাজ করত। তার আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছে। জানা গিয়েছে, শ্রুষ্টিকে হত্যা করার পর ওই যুবক রক্তে ভেজা কাপড় পরে এবং ছুরি হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে ছিল। মেয়েটির আইনজীবী আদালতে প্রমাণ করেন যে পূর্বপরিকল্পিতভাবেই ওই যুবক কিশোরীকে খুন করেছিল। এর জন্য পাশের একটি শহর থেকে এক সপ্তাহ আগে ছুরি কিনেছিল। বিশেষ সরকারি আইনজীবী মোজনক প্যাটেল সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে এটিকে বিরলতম মামলা হিসেবে উল্লেখ করেন।

সারভাইয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। আদালত ৩০২ ধারায় খুনের অপরাধে যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং সেইসঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আসামিকে উচ্চআদালতে আবেদন করার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup