Siddiqullah Chowdhury: ‘কে ঘেউ ঘেউ করল তাতে আমার কিছু যায় আসে না’, দলের নেতাকে কটাক্ষ সিদ্দিকুল্লাহর

পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর বিধানসভার কেন্দ্রের অন্তর্গত মেমারি ২ নং ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে দলের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর বিবাদ দীর্ঘদিনের। রবিবার ইসমাইলকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করেছিলেন সিদ্দিকুলাহ। মঙ্গলবার আবারও দলের নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিদ্দিকুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কে ঘেউ ঘেউ করছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তৃণমূল সর্বজনীন দল।’ উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনায় ইসমাইলের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছেন সিদ্দিকুল্লাহ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুই নেতার দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে তৃণমূল।

গত ১২ মার্চ মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিলবাড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। দলীয় কর্মীরা সভা থেকে ফেরার পথে বারোয়ারী গ্রামে তাদের ওপর রড, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় ইসমাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রী। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি থাকা আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে যান মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। হাসপাতালে গিয়ে তিনি প্রথমে সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি ওয়ার্ডে গিয়ে আহত তৃণমূল কর্মী হানান সেখ সহ অন্যান্যদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘দু’জন অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এর মধ্যেও রাজনীতি আছে।’ পাশাপাশি তিনি এদিন মেমারি থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা অপরাধী তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিচ্ছি। আমরা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তারা তো আশেপাশেই আছে। কেউ তো আর লন্ডনে যায়নি। তাই অভিযুক্তদের ধরতে হবে। তাদের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে।’

এরপরেই ইসমাইলকে আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘৩২ হাজার ভোটে জিতেছি মন্তেশ্বরে। সুতরাং কে ঘেউ ঘেউ করছে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তৃণমূল দল সর্বজনীন। যে কেউ দলে গিয়ে ঝাণ্ডা ধরতে পারে। তবে নেতা হওয়া এত সহজ নয়।নেতা হতে গেলে তাকে সম্ভ্রম হতে হবে।’

এদিন জেলা পুলিশ সুপারকে ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিলবাড়ি, ঝিকরা-সহ গোটা এলাকায় অশান্তি ছড়ায়। প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বাক যুদ্ধে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দুই তৃণমূল নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। রবিবার সন্ধ্যায় বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক জখম হন। ৫ জন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, ধৃতরা সবাই মহম্মদ ইসমাইলের অনুগামী।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup