Sexual Harassment Case in Delhi HC: কোনও নারী সঙ্গে থাকতে চাওয়া মানেই যৌন সঙ্গমে সম্মতি নয়, পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের

কোনও নারী যদি কোনও পুরুষের সঙ্গে থাকতে চান, তার মানে এই নয় যে তিনি সেই পুরুষের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে সম্মত। এমনই পর্যবেক্ষণ করল দিল দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভম্বানি এক মামলায় পর্যবেক্ষণ দিয়ে জানিয়ে দিলেন, কোনও নারী যদি পুরুষ সঙ্গে সম্মত হন, তার মানে এই নয় যে তিনি যৌন সঙ্গমের ক্ষেত্রেও সম্মতি প্রকাশ করেছেন। কোনও পুরুষের সঙ্গে কত দিন ধরে একজন নারী রয়েছেন, তাও যৌন সঙ্গমের পূর্বশর্ত হতে পারে না বলে পর্যবেক্ষণ করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, একাধিক ক্ষেত্রেই কোনও মহিলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলে তাঁর আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তুলে থাকেন অভিযুক্তের আইনজীবী। যা নিয়ে নির্যাতিতার ‘চরিত্র হনন’ করার চেষ্টা করা হয়। এই আবহে দিল্লি উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের ‘পেটে লাথ মারতে’ পদক্ষেপ সরকারের, ‘ঝামেলা’ হতে পারে পেনশনে)

উল্লেখ্য, সঞ্জয় মালিক ওরফে সন্ত সেবক দাসের বিরুদ্ধে চেক প্রজাতন্ত্রের এক মহিলার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুনানি হয় গতকাল। সেই মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় মালিকের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে দাবি করেন, অভিযোগকারী চেক মহিলা দীর্ঘ দিন ধরে ছিলেন মক্কেলের সঙ্গে। এই আবহে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি জয়রাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারপতি এই বিষয়ে বলেন, ‘এক জন মহিলা যদি কোনও পুরুষের সঙ্গে থাকতে সহমত পোষণ করেন, তা সে যত দিনের জন্যই হোক না কেন… এর থেকে এটা ধরে নেওয়া যায় না যে তিনি সেই পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কেও সম্মত।’

প্রসঙ্গত, এই মামলায় অভিযোগ, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর দিল্লির এক হোস্টেলে, ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি এলাহাবাদ, ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিগারের গয়ার এক হোটেলে যৌন হেনস্থা করা হয় অভিযোগকারী চেক মহিলাকে। তবে পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৬ মার্চ দিল্লিতে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেই মহিলা। চেক মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্ত সঞ্জয় মালিক নিজেকে এক ধর্মী গুরু হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল তাঁর কাছে। ২০১৯ সালের ৮ অগস্ট তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। মৃত স্বামীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে সেই সঞ্জয় তাঁকে সাহায্য করার কথা বলেছিলেন বলে জানান চেক মহিলা।