বেশি দূষণে পুরুষ মৌমাছিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে স্ত্রীরা! বিপদ বাড়ছে মানুষেরও

দিন দিন‌ বাড়ছে বায়ুদূষণের হার। আর তার প্রভাব পড়ছে মানুষ সহ নানা রকম প্রাণীর উপরেও। ইদানিং মৌমাছিরাও ভুগছে বড় সমস্যায়। বাতাসে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। আর এই গ্যাসই বাধা দিচ্ছে মৌমাছিদের স্বাভাবিক মিলনে। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এল গবেষণায়। বিখ্যাত নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাটিতে জানা যাচ্ছে, মৌমাছিরা নাকি চিনতেই পারছে না বিপরীত লিঙ্গের মৌমাছিকে।

সাধারণত প্রজননের জন্য মিলিত হয় মৌমাছিরা। মিলনের আগে ফোরোমোন নামের এক রাসানিক নির্গত হয় তাদের শরীর থেকে। কিন্তু বাতাসে এমনই দূষণ যে, সেই ফোরোমোন ঠিকমতো কাজই করছে না। ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি বলে কমে যাচ্ছে ফোরোমোনের আকর্ষণ ক্ষমতা।সমস্যা এটুকুতেই থেমে নেই। বিপরীত লিঙ্গের মৌমাছিকে যেমন খুঁজে পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। তেমনই নিজের লিঙ্গের মৌমাছির সঙ্গেই মিলন হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। স্ত্রী মৌমাছিরাও এই ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যেসব পুরুষ মৌমাছি ওজোন গ্যাসের প্রভাবে সেভাবে আকর্ষণ তৈরি করতে পারে না, তাদের দিকে তাকাচ্ছেই না স্ত্রী মৌমাছিরা। শুধু তাই নয়, মৌমাছিদের মধ্যেও চলে ইঙ্গিতের খেলা। অর্থাৎ সঙ্গম করার ইচ্ছে জানান দিতে নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে পুরুষ মৌমাছিরা। কিন্তু তাতেও মন গলছে না স্ত্রী মৌমাছিরা।প্রজননের হার কমে গেলে কী হতে পারে?

মৌমাছিদের সমাজে এই নয়া বিপদ চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিজ্ঞানীদের কপালে। কারণ, এই সমস্যা চলতে থাকলে পৃথিবীতে পতঙ্গের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এমনকী এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের কথায়, শুধু মৌমাছি নয়, এই ফোরোমোন আরও অনেক পতঙ্গ ও প্রাণীর প্রজননে সাহায্য করে। বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে মিলিত হতে সাহায্য করে। এর ক্ষতি হওয়া মানে অনেক প্রজাতির অস্তিত্বে বিপদ ঘনিয়ে আসা। বায়ুতে দূষণের মাত্রা না কমলে এর থেকে রেহাই নেই।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup