Bank প্রতারণায় গ্রেফতার কলকাতার ডাক্তারবাবু, ৫০ লাখ লোন পেতে একী জমা করেছিলেন…

লোন সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগে কলকাতা পুলিশ ৪৪ বছর বয়সী এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে। তিনি আগে পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি ওড়িশার একটি হাসপাতালে চাকরি করা শুরু করেন। তিনি ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ৫০ লাখ টাকা লোন নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই তাকে কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক প্রতারণা সংক্রান্ত শাখা গ্রেফতার করেছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, তিনি প্রায় ২.১ কোটি লোন প্রতারণা সংক্রান্ত ঘটনার সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ। মূলত ভুয়ো কেওয়াইসি ডকুমেন্ট জমা দিয়ে এই ধরনের প্রতারণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ৬টি বেসরকার ব্যাঙ্কের সঙ্গে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

অভিযুক্ত দেবরাজ চন্দ আসলে পঞ্চসায়রের নয়াবাদের বাসিন্দা। কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। ঠিক কী অভিযোগ তার বিরুদ্ধে?

পুলিশ সূত্রে খবর,  ২০২১ সালে তিনি একটি প্রাইভেট ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লাখ টাকা লোন নিয়েছিলেন। তখন তিনি ভুয়ো কে ওয়াইসি ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। এরপর তিনি লোন পেয়ে যান। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে পুলিশের দাবি একটা গোটা চক্র এর পেছনে রয়েছে। ২২জন এই চক্রে রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫জনকে পুলিশ ধরতে পেরেছে। এর আগে এক সিনিয়র ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তিনি একটি প্রাইভেট ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। অপর এক সরকারি আধিকারিক যিনি অর্ডন্য়ান্স ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে চক্রের চাঁইয়ের যোগাযোগ ছিল। একাধিক এজেন্ট এই চক্রের আওতায় কাজ করত। তারা নানা ধরনের ভুয়ো নথি ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে লোন আদায়ের চেষ্টা করত। এই চক্রের সঙ্গে ব্য়াঙ্কের লোকজনও জড়িত থাকত বলে অভিযোগ। এর জন্য় নানা এজেন্টও নিয়োগ করা হত। তারা লোন আদায়ের জন্য সোস্য়াল মিডিয়ায় ভুয়ো নথির খোঁজ করত। এরপর সেগুলি দেখিয়ে ভুয়ো নামে লোন নেওয়া হত। তবে ব্যাঙ্ক এগুলি কেন যাচাই করত না সেই প্রশ্ন উঠছে।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকত? আর তার জেরেই ভুয়ো KYC জমা দিয়েও পার পেয়ে যেত তারা।  

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup