Maharashtra: পরীক্ষার দিন নাবালিকার বিয়ে দিল পরিবার, ১৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা পুলিশের

পরীক্ষা না দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসল এক কিশোরী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু, ততক্ষণে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের বিড জেলায়। নাবালিকার বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার ওই নাবালিকার এসএসসি বোর্ডের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু, পরীক্ষায় না বসে বিয়ের জন্য ছাতনাতলায় পৌঁছে যেতে হয়েছিল ওই ছাত্রীকে।

জানা গিয়েছে, ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১৫০ থেকে ২০০ জন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। এই ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বয়স ১৬ বছর। নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায় না। এরপর বিপাকে পড়ে মেয়েটির পরিবার গ্রামের প্রধানের দ্বারস্থ হন। প্রধানও জানতে চান আইন কেন ভাঙা হয়েছে? যদিও নাবালিকা কনের বাড়ির লোকেরা এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

এ নিয়ে সরব হয়েছেন সমাজকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পরে পুলিশ সেখানে পৌঁছেছে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে পুলিশ পৌঁছয়নি। পুরো ঘটনায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন সমাজকর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত তিন বছরে মহারাষ্ট্রের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় ১৫,২৫৩ জনের বাল্যবিবাহ এবং ৬৫৮২ জনের অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত বছর বম্বে হাইকোর্টে রাজ্যের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের এই ১৬টি জেলায় অপুষ্টিতে শিশুদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৬০১ জন শিশুর মা নাবালিকা। অর্থাৎ তাদের বাল্যবিবাহ হয়েছিল। তপশিলি উপজাতিদের মধ্যে গত তিন বছরে ২৫,৭০৬টি শিশুর অপুষ্টির সমস্যা ছিল। সেক্ষেত্রে ৩০০০ শিশুদের মায়েরা অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। অর্থাৎ তাদের বাল্যবিবাহ হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে নন্দুরবার, অমরাবতী, নাসিক, থানে, পালঘর এবং গদচিরোলি এলাকায়। ইতিমধ্যেই, বাল্যবিবাহ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। সম্প্রতি অসম সরকারও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করেছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সেখানে রাজ্য জুড়ে চলছে ধরপাকড়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup