Viswa Bharati: আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী, পড়ুয়া–নিরাপত্তাকর্মীদের হাতাহাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে

আবার উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপস্থিতির হার নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা থেকেই এমন ঘটনা ঘটল। কারণ যাঁরা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন, তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন নিরাপত্তারক্ষীরা। দু’‌সপ্তাহ আগের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিতর্কের পর গতকাল মঙ্গলবার আবার উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্বভারতী। এবার বিএড ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

কেন পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না?‌ এই প্রশ্ন তুলে কথা বলতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীদের। তখন ছাত্রদের ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনে মঙ্গলবার বিএড–এর পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারে ৩০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। কারণ, তাঁদের উপস্থিতির হার কম রয়েছে। তখনই ছাত্রছাত্রীরা ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। ব্যস, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। আর তপ্ত হয়ে ওঠে বাতাবরণ।

তারপর ঠিক কী ঘটল? বিএড পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শিক্ষকরাই ক্লাসে আসতেন না। আর তার বদলে হোয়াটসঅ্যাপে উপস্থিতি নিতেন। সুতরাং তাদের কোনও দোষ নেই বলে সরব হয় ছাত্রছাত্রীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। আর ধাক্কাধাক্কিও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এক অন্ধ ছাত্রকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরই ছাত্রছাত্রীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এখানে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হয় ক্লাসে। কিন্তু যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করছে, তাদের উপস্থিতির সংখ্যা খুবই কম রয়েছে। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল বিনয় ভবনের সামনে। বিশ্বভারতীর ভবন চত্বরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। এই ঘটনাকে অনাচার বলে দাবি করে পড়ুয়ারা জানায়, যতদিন না এই ঘটনার ফয়সালা হচ্ছে, ততদিন লাগাতার আন্দোলন চালাবে তারা।