বসন্ত উৎসবে ছাত্রী ও মায়েদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বসন্ত উৎসব আয়োজনের নামে স্কুলের ছাত্রী ও তাদের মায়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল হুগলির চণ্ডীতলার দত্তপুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুল। স্কুলের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষক নিমাইচন্দ্র ঘোষ বলেন, বসন্ত উৎসব মিটেছে তো ১ সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে, এখন হঠাৎ এসব মনে পড়ল কেন?

ঠিক কী ঘটেছে?

গত ১০ মার্চ বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয়েছিল। অভিযোগ, ওই দিন মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক নিমাইচন্দ্র ঘোষ। ছাত্রী ও তাঁদের মায়েদের রং মাখানোর নামে শ্লীলতাহানি করেন তিনি। হাত ধরে টানাটানি করেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। পৌঁছন জয়েন্ট বিডিও। এর পর তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, প্রধান শিক্ষকের বদলি চাই।

পুলিশের অনুরোধে কিছুক্ষণ পরে পথ অবরোধ তুলে নিয়ে স্কুলের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। এক অভিভাবক বলেন, বসন্ত উৎসবের দিন প্রধান শিক্ষক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রং মাখানোর নামে আমার হাত ধরে টানাটানি করেন। আমি কোনওক্রমে ছাড়িয়ে বেরিয়ে আসি।

ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, আমাকে ও আমার এক বন্ধুকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে নাচতে বাধ্য করেন প্রধান শিক্ষক। উনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দেখি অফিস ঘরে জামা খুলে শুয়ে আছেন।

অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে নানা রকম ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তবে প্রধান শিক্ষকের যদি এই রূপ হয় তাহলে মেয়েদের কোন ভরসায় স্কুলে পাঠাব? এই প্রধান শিক্ষকের বদলি চাই। আমাদের স্কুলে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

প্রধান শিক্ষকের সাফাই

অভিযোগ খারিজ করে প্রধান শিক্ষক নিমাইচন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি ওই দিন খুব অসুস্থ ছিলাম। তবুও ছাত্রীদের আনন্দের কথা ভেবে স্কুলে আসি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্কুলে ছিলাম। আমি কোনও খারাপ কাজ করে থাকলে সেদিনই অভিযোগ দায়ের করে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হল না কেন? এই বিক্ষোভের পিছনে কয়েকজন শিক্ষকের মদত থাকতে পারে।’ এবিষয়ে স্কুলের কোনও শিক্ষক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।