অক্সফোর্ডে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ ফেরালেন বরুণ গান্ধী, হাঁটলেন না রাহুলের পথে

বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কসভায় বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ সঠিক পথে চলছে কি না সেই সংক্রান্ত একটি বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়েছিল অক্সফোর্ডে। সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়েছির বরুণ গান্ধীকে। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে গিয়ে ঘরের বিষয়কে তুলে ধরার মধ্যে কোনও কৃতিত্ব নেই। এটা অসম্মানের কাজ। 

এদিকে তাঁরই আত্মীয় তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি লন্ডনে বক্তব্য রেখে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তবে এবার আর সেই পথে হাঁটতে চাননি বরুণ। এদিকে রাহুলের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি দাবি করেছিল বিদেশের মাটিতে বসে রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন তা নিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে ইতিমধ্যেই কংগ্রেেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই। 

কিন্তু বরুণ গান্ধী কেন আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিলেন?

সূত্রের খবর, বরুণ গান্ধী অতীতে একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন. তিনি এনিয়ে  প্রকাশ্যে মুখও খুলেছিলেন। এদিকে ইংল্যান্ডে যে বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়েছিল তার বিষয় ছিল ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সঠিক পথেই চলছে এটাই হাউজ বিশ্বাস করে। তবে সেখানে বক্তব্য রাখতে চাননি বরুণ গান্ধী।

এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে এই বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল। তবে এই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়ে বরুণ গান্ধী জানিয়েছেন, এনিয়ে বলার জন্য দেশে আমরা প্রচুর সুযোগ পাই। পার্লামেন্টের পাশাপাশি জনতার দরবারেও আমরা এনিয়ে বলার সুযোগ পাই। তবে এই ধরনের ইস্যু দেশের মধ্য়েই তোলা দরকার। বিদেশের মাটিতে বসে এনিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই। এটা দেশের কাছে অসম্মানজনক। এটা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী।

তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মতো রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কেন্দ্র বা রাজ্যের কোনও নীতির বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের উন্নতির জন্য আমরা সকলেই একতাবদ্ধ। 

এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভালো জায়গায় রয়েছে। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতি, দুর্নীতি রোধ করার কৌশল অনেকেরই নজর কেড়েছে। 

অন্যদিকে কৃষিক্ষেত্রের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশাসনকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তবে তার জন্য় বিদেশের মাটিকে দাঁড়িয়ে ভারতের সমালোচনা করতে হবে এটা একেবারেই মানতে পারছেন না বরুণ গান্ধী। তাঁর মতে এটা ভারতের স্বার্থের বিরোধী।