স্যার বাড়ি আছেন? পাহারা দেব, মাঝরাতে ফের পুলিশ এল কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে

রাতারাতি বদলে গেল ছবিটা। কিছুদিন আগেই কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে মাঝরাতে গিয়েছিল পুলিশ। এরপর  ভোররাতে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে তিনি জামিনও পেয়েছিলেন। এবার আদালতের নির্দেশে সেই কৌস্তভের বাড়িতেই নিরাপত্তার জন্য় মোতায়েন করা হল পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গেও একজন সশস্ত্র দেহরক্ষীও থাকবেন। রাজ্যপুলিশের তরফ থেকেই এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও পেতে পারেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। 

আদালতের এই পদক্ষেপে অত্যন্ত খুশি কৌস্তভ। তিনি এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্য়দিকে কৌস্তভের পরিবারের সদস্যদের অবশ্য় দাবি, রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেই আমরা ভরসা পাব। 

কৌস্তভ বলেন, এদের সব কাজই মাঝরাতে। শুতে চলে গিয়েছিলাম। দুপুরের মধ্যে অর্ডার কমিউনিকেট করা হয়ে গিয়েছে। মাঝরাতে পুলিশ এল পাহারা দিতে। কিন্তু এখন তাঁদের কোথায় থাকতে দেব! কিন্তু আমার বলার বিষয় একটাই। সেবার রাত আড়াইটের সময় আমায় গ্রেফতার করতে পুলিশ এসেছিল। এবার সুরক্ষা দিতে পুলিশ এল রাত সাড়ে বারোটার সময়। গোটাটাই খুব হয়রানি।এই সময় তো মানুষ শুয়ে পড়বে। সেই সময় পুলিশ নিরাপত্তা দিতে এল। প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। আমি বলে দিয়েছি মাঝরাতে আপনাদের জন্য় ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। আমি ফোন করে বলেছি কোর্ট অর্ডারটা আপনাদের মেনে চলা দরকার। কিন্তু একটাই কথা কোর্ট অর্ডার তো অনেক আগে হয়েছে। তারপর না এসে মাঝরাতে কেন পুলিশ এল?

আমার বাবা মায়ের নিরাপত্তাটা সবার আগে দরকার। পাঁচজন বাড়িতে থাকবেন। আর একজন সশস্ত্র পুলিশ আমার সঙ্গে থাকবেন বলে কথা রয়েছে। জানিয়েছেন কৌস্তভ

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কৌস্তভ বাগচিকে। অন্য়দিকে কৌস্তভের পালটা দাবি ছিল কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর পরিবারকে নিয়ে অত্যন্ত অসম্মানজনক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে রাজনীতির আঙিনাতেও তুমুল শোরগোল পড়ে। শেষ পর্যন্ত মাঝরাতে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে কৌস্তভকে। তবে এবার সেই কৌস্তভের বাড়িতেই কোর্টের নির্দেশে পুলিশ গেল। তবে সেটাও সেই মাঝরাতে। পুলিশের এই মাঝরাতে আসা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন কৌস্তভ নিজেও। কৌস্তভের দাবি, মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবার সেই মাঝরাতেই পুলিশ নিরাপত্তা দিতে এল। এটা তো হয়রানির নামান্তর।