Jakir Hossain: তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জাকির হোসেনকে তলব করল ইডি, দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ

গরুপাচার মামলায় এবার নয়া মোড়। এই মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নয়াদিল্লিতে তলব করল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনকে। কিছুদিন আগে বাড়িতে ঢুকে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য রাখা টাকা নিয়ে যায় আয়কর দফতরের অফিসাররা। এবার আগামী সপ্তাহে তাঁকে বেশকিছু নথি নিয়ে নয়াদিল্লির ইডি অফিসে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত ২ মার্চ জাকির হোসেনকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। এবার আবার তাঁকে আগামী সপ্তাহে ডাকা হয়েছে।

কেন ডাকা হল প্রাক্তন মন্ত্রীকে?‌ জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জাকির হোসেনকে আগেও গরুপাচার মামলায় তলব করেছিল ইডি। এমনকী তাঁর বাড়িতে ২০২৩ সালে আয়কর দফতর পর্যন্ত হানা দেয়। বিড়ি শ্রমিক এবং চাষীদের জন্য রাখা কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। যদিও এই টাকার প্রামাণ্য নথি থাকায় তৃণমূল কংগ্রেস জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাকির হোসেন ব্যবসায়ী। তাই তাঁর কাছে নগদ টাকা থাকা স্বাভাবিক। এবার তাঁকে আবার ডেকে পাঠাল ইডি।

গরুপাচারের সঙ্গে কেমন করে যুক্ত?‌ জাকির হোসেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এলাকার বিধায়ক। তাই প্রমাণ হাতে না পেলেও ইডি অফিসাররা ধরে নিচ্ছেন সীমান্তবর্তী জেলার বিধায়ক হওয়ায় তিনি গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। তাই ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথিপত্র এবং যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র নিয়ে তাঁকে নয়াদিল্লিতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ইডির অফিসাররা। তিনি আগেরবার এড়িয়ে গেলেও এবার তিনি যেতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গরুপাচার মামলায় এখন নয়াদিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। যিনি এখন কেঁদে ভাসাচ্ছেন। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে তলব করা হলেও তিনি যাননি। আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে শক্তিগড়ে প্রাতঃরাশ করতে নেমে তাঁর দুই ঘনিষ্ঠের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার সেই ঘনিষ্ঠ একজন কৃপাময় ঘোষকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup