ISL Final: ATK Mohun Bagan Beat Bengaluru FC In Tie Breaker 4-3 To Become ISL Champion


গোয়া: এ যেন ঠিক কাতারের অ্যাকশন রিপ্লে।

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনা-ফ্রান্স ফাইনালে একবার এক দল এগিয়েছে। তো পরের মুহূর্তেই গোল শোধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফয়সালা হয় ম্যাচের। লিওনেল মেসির হাতে ওঠে বিশ্বকাপ। 

আইএসএল ফাইনালের পরিসমাপ্তিও হল সেরকমই রুদ্ধশ্বাসভাবে। ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফয়সালা হয়নি। নির্ধারিত সময় শেষ হয় ২-২ ফলে। অতিরিক্ত সময়েও এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি – কোনও দলই গোল পায়নি।

অবশেষে টাইব্রেকারে হল ম্যাচের ফয়সালা। আর টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ৪-৩ গোলে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল এটিকে মোহনবাগান।

গোল। পাল্টা গোল। একবার এগিয়ে যাচ্ছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। তো পরের মুহূর্তেই সমতা ফেরাচ্ছে বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। তারপর এগিয়ে যাচ্ছে বেঙ্গালুরু। শেষ বাঁশি বাজার আগে ফের ২-২ করে দিচ্ছে সবুজ মেরুন শিবির। পেনাল্টি। হলুদ কার্ড। গোললাইন সেভ। নাটকের কোনও উপকরণই বাদ গেল না এটিকে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি ফাইনালে।

৯০ মিনিটের শেষে আইএসএল ফাইনালের ফয়সালা হল না। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হল ২-২ গোলে। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ট্রফি কার হাতে উঠবে, প্রীতম কোটাল নাকি গুরপ্রীত সিংহ সাঁধুর, তার জন্য আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে দুই দলের ভক্তদের।

প্রথমার্ধের শেষ হতে তখন আর কয়েক সেকেন্ড বাকি। ১-০ গোলে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। আইএসএল ফাইনালে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে তখন ১-০ গোলে এগিয়ে প্রীতম কোটালরা। পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেছেন দিমিত্রি পেট্রাটস।

কিন্তু নাটকের তখনও বাকি ছিল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু এফসি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-১ করলেন সুনীল ছেত্রী। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।

ম্যাচের শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। কিক অফের পরেই চোট পান তাদের দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র শিবা শক্তি। শূন্যে বল দখলের লড়াইয়ে কার্ল ম্যাকহিউ ও আশিক কুরুনিয়নের মধ্যে পড়ে চোট পান তিনি। স্ট্রেচারে চেপে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। শিবা শক্তির পরিবর্তে ম্যাচে ৩ মিনিটের মাথায় মাঠে নামেন সুনীল ছেত্রী। প্রথমার্ধের শেষে গোল করে সুনীলই বেঙ্গালুরুকে লড়াইয়ে রেখেছেন। আইএসএল ফাইনালে পরিবর্ত হিসাবে নেমে গোল করা চতুর্থ ফুটবলার বাংলার জামাই।

প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটে কর্নার পায় এটিকে মোহনবাগান। পেট্রাটসের কর্নার কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে হাতে লাগিয়ে বসেন রয় কৃষ্ণা। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন পেট্রাটস।

যদিও গোল খেয়ে তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে বেঙ্গালুরু এফসি। ৬০ শতাংশ বলের দখল নিজেদের কাছে রেখেছিল বেঙ্গালুরু। তার ফলও পায়। প্রথমার্ধে ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম দিয়েছিলেন রেফারি। তিন মিনিট শেষ হতে তখন আর কয়েক সেকেন্ড বাকি। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের বক্সে রয় কৃষ্ণাকে ফাউল করে বসেন শুভাশিস বসু। রেফারি পেনাল্টি দিলে কৃষ্ণা নন, শট নিতে যান সুনীল ছেত্রী। ঠান্ডা মাথায় গোল করেন তিনি। 

দ্বিতীয়ার্ধে উলটপুরাণ। ৭৮ মিনিটের মাথায় সুরেশ সিংহের কর্নার কিক থেকে শূন্যে লাফিয়ে হেড করে দুরন্ত গোল করেন রয় কৃষ্ণা। যিনি আবার এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তনী। তবে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করে কোনও উৎসব করলেন না কৃষ্ণা। নাটকের তখনও বাকি ছিল। শেষ বাঁশি বাজার ৬ মিনিট আগে সদ্য নামা কিয়ান নাসিরিকে ফাউল করেন পাবলো পেরেজ। পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন পেট্রাটস।

আরও পড়ুন: দলে ফিরবেন রোহিত, দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে কি সিরিজ জিততে পারবে ভারত?