Bangladesh Bus Accident: বাংলাদেশে পদ্মাসেতুর কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, মৃত ১৭

ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা বাংলাদেশে। পদ্মাসেতু যাওয়ার রাস্তায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঢাকার দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে খুলনা থেকে বাসটি রাজধানী শহর ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অনেকটাই এগিয়ে এসেছিল যাত্রী বোঝাই বাসটি। ইমাদ পরিবহণের বাস ছিল এটি। মাদরিপুর শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপর প্রধান রাস্তার রেলিং ভেঙে বাসটি রাস্তার পাশের নীচু জায়গায় উলটে পড়ে। দুর্ঘটনায় সব মিলিয়ে  ১৭জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আরও প্রায় ৩০জন জখম হয়েছেন। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাসটি। একেবারে দুমড়েমুড়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে রাস্তা থেকে প্রায় ৩০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে বাসটি।

সূত্রের খবর পদ্মা সেতুতে ওঠার মুখে বাসটি কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। এরপর সেটি রেলিং ভেঙে একেবারে নীচে উলটে পড়ে। এদিকে একেবারে যাত্রীতে ঠাসা ছিল বাসটি। অনেকেই বাসের মধ্য়ে ঘুমোচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একাধিকজনের। প্রচন্ড শব্দে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারাই প্রথম উদ্ধারকাজে হাত লাগান।

এরপর পুলিশ ও উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে আসে। একে একে জখম বাসযাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তবে বাসে ঠিক কতজন ছিলেন সেটা এখনও জানা যায়নি। একে একে জখমদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। অনেকেরই মাথা ফেটে গিয়েেছ। রক্তে ভেসে যায় চারদিক। তীব্র আর্তনাদে শোনা যায়। 

এদিকে স্থানীয়দের দাবি, পদ্মাসেতুর মহাসড়কে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু এভাবে রেলিং ভেঙে এত বড় দুর্ঘটনার কথা আগে শোনা যায়নি। বাসের সামনের দিকটি একেবারে ভেঙেচুরে দুমড়ে, মুচড়ে গিয়েছে। কোনওরকমে যাত্রীদের একে একে উদ্ধার করা হয়। 

কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা হল?  এক দমকল আধিকারিকের মতে, সম্ভবত অতিরিক্ত গতিতে বাসটি আসছিল। কিন্তু মহাসড়কের উপর বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। সম্ভবত প্রচন্ড গতিতে বাসটি আসার সময় সেটির টায়ার ফেটে যায়। এরপরই বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর সোজা রেলিং ভেঙে বাসটি মহাসড়ের পাশে নীচু জায়গায় পড়ে যায়। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হয়ে গিয়েছে। সকাল ৮টা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঢাকা মেডিক্য়াল কলেজে একাধিকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্য়ে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিবচরের পুলিশ আধিকারিক আনোয়ার হোসেন সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন. একাধিক যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা চলছে।