Chennai Super Kings Sign Magala As Injured Jamieson’s Replacement


চেন্নাই: আইপিএলের আগেই কাইল জেমিসনের (Kyle Jemison) ছিটকে যাওয়াটা কিছুটা ধাক্কা দিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসকে (Chennai Super Kings)। কিন্তু টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামার আগে কিউয়ি অলরাউন্ডারের পরিবর্ত খুঁজে নিল সিএসকে (CSK)। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার সিসান্দা মাগালাকে (Sisanda Magala) বেছে নিল তিনবারের টুর্নামেন্ট জয়ীরা। 

নিউজিল্য়ান্ডের অলরাউন্ডার কাইল জেমিসনকে ১ কোটি টাকার বিনিময়ে সিএসকে দলে নিয়েছিল। গত মাসে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলার সময়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন। যার জন্য বেশ কয়েক মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন জেমিসন। যার জন্য এবার মাগালাকে দলে নিল সিএসকে। ৩২ বছরের এই তারকা পেসারকে তাঁর বেস প্রাইস ৫০ লক্ষ টাকায় দলে নিল সিএসকে। 

২০২১ সালের এপ্রিলের পর থেকে দেশের জার্সিতে একটিও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি মাগালা। দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি লিগে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের হয়ে ভাল পারফর্ম করে নজরে পড়েছিলেন। গোটা টুর্নামেন্টে মোট ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। এছাড়াও লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ের হাতও খুব ভাল। আগামী ৩১ মার্চ গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস। 

বিগত কয়েক মরসুমে করোনা (Covid-19) কাঁটায় ক্রিকেটারদের একাধিক বিধিনিষেধ মেনেই আইপিএলে (IPL) অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। বর্তমানে করোনার চোখরাঙানি নেই বললেই চলে, তাই তেমন কোনও বিধিনিষেধও নেই। সাম্প্রতিক সময়ে তো করোনা আক্রান্ত ক্রিকেটাররাও ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে এক্ষেত্রে বিপরীত পথ অবলম্বন করতে চলেছে আইপিএলের আয়োজক সংস্থা। 

  

সাত দিনের আইসোলেশন

আসন্ন মরসুমে জৈব বলয়ের বাধা নেই। তবে আইপিএল ম্যানেজমেন্ট ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী আইপিএলের সময় কোনও ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে সেই সময় মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া হবে না। উপরন্তু, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দলের বাকি সকলের থেকে পৃথকভাবে সাতদিন আইসোলেশনে কাটাতে হবে। করোনা আক্রান্ত ক্রিকেটারের রিপোর্ট যতক্ষণ না পর্যন্ত নেগেটিভ আসছে, ততক্ষণ তিনি অনুশীলনও করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পাঁচদিনের আগে আবার পরীক্ষাও করা যাবে না বলেই খবর।

মেডিক্যাল গাইডলাইন

খবর অনুযায়ী ফ্রাঞ্চাইজিগুলিকে আইপিএলের তরফে দেওয়া মেডিক্যাল গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, একমাত্র যাদের মধ্যে করোনার উপশম দেখা যাবে, কেবল তাঁদেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে। উপশম না থাকলে কোনওরকম পরীক্ষাও করা হবে না। একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সাতদিন  কেটে গেলেও আক্রান্ত ক্রিকেটারকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট না দেখানো পর্যন্ত খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না। দলে যোগ দেওয়ার অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে ওই ক্রিকেটারকে দুইটি নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে।