Sujata-Saumitra: আবার কি বিয়ের পিঁড়িতে সুজাতা? ফোনে বাজছে, আমার পরান যাহা চায়…

বাংলার রাজনীতির আঙিনায় ২০১৯ সালে যে জুটিকে ঘিরে সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছিল তা নিঃসন্দেহে সৌমিত্র-সুজাতা। দিনের পর দিন দেখা যেত সৌমিত্রর জন্য একেবারে রাত দিন এক করে খাটছেন সুজাতা খাঁ। পরে জিতেও যান সৌমিত্র খাঁ। সাংসদের চেয়ারে বসেন তিনি। কিন্তু সুজাতার সঙ্গে আগের সম্পর্কে ভাটা পড়ে। গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে সুজাতা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। আর এখন তো একেবারে সৌমিত্রর সঙ্গে বিচ্ছেদের সুর বাজছে সুজাতার জীবনে। কিন্তু তার সঙ্গেই শোনা যাচ্ছে সুজাতা মণ্ডলের জীবনে এখন অন্য গানের কলি। তাঁর ফোনেও শোনা যাচ্ছে, আমার পরানও যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো…। আসলে ব্যাপারটা কী? 

অনেকেই বলছেন এই তুমি মানে সৌমিত্র নন। অন্য় কারোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন সুজাতা। কিন্তু কে তিনি সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে সুজাতা নিজে অবশ্য় এনিয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি। তবে শনিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে এসেছিলেন সুজাতা। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন তিনি। 

তিনি জানিয়েছিলেন, আজকে নিজেকে অনেকটাই হালকা লাগছে। কোনও বিষাক্ত সম্পর্কে থেকে নিজেকে অপমানিত ও অত্যাচারিত হতে কার ভালো লাগে। আমার যা বয়স অর্ধেকের বেশি জীবন এখনও বাকি রয়েছে। গোটা জীবন নষ্ট করার থেকে ভালোভাবে ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটাই দরকার। অনেক মেয়েই এটা পারে না, আমি তাঁদের প্রতি সমব্যথী। কিন্তু আমি বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

এদিকে রবিবার সন্ধ্যাতেও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। ফোন বেজে গিয়েছে। কলার টিউনে বাজছে, আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই…তুমি তাই গো…

আর নতুন কোন সম্পর্ক প্রসঙ্গে সুজাতা শনিবার বাঁকুড়ায় জানিয়েছিলেন, নতুন কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছি কি না সেটা সময় বলবে, ক্রমশ প্রকাশ্য। দেখা যাক সময় কোন দিকে নিয়ে যায়। যদি সেরকম ভালো কিছু আসে যদি আমার মনে হয় জীবনে সেটল হওয়া দরকার তবে সেটা নিশ্চয়ই হবে। 

তবে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পথ চলতে চান সুজাতা। অনেকে বলেন, জীবনে বড় ধাক্কা খেলে নাকি সাবধানী হয়ে যান অনেকেই। তবে সম্প্রতি তিনি রিলস বানিয়েছিলেন। সেখানে একেবারে বধূবেশে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এনিয়ে জল্পনা কিছু কম হয়নি। তবে তাঁকে ঘিরে জল্পনাটি এখনও জিইয়ে রয়েছে। তাঁর সেই রিলসের কমেন্টে অনেকেই তাঁর আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।