২০১২ প্রাথমিক টেটে দুর্নীতির আশঙ্কা, CBI-এর দাবিতে হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা

রবিবার সকালে দুর্গাপুরে ২ শিশুসন্তানসহ দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় উঠে এসেছে ২০১২ প্রাথমিক টেটে দুর্নীতির সম্ভাবনা। একই দিনে বিধাননগরে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ২০১২ প্রাথমিক টেটে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। সত্যিই কি ২০১২ প্রাথমিক টেটেও দুর্নীতি হয়েছে, প্রশ্ন তুলে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চান এক আইনজীবী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

রবিবার সকালে দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়া ডাঙার মিলনপল্লিতে একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। ঘর থেকে পাওয়া যায় অমিত মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ। পাশের একটি ঘর থেকে পাওয়া যায় অমিতের স্ত্রী ১০ বছরের ছেলে ও ১ বছরের মেয়ের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্ত্রী সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন অমিত।

রবিবার রাতে পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন অমিত। তাতে তিনি তাঁর মা ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েককে দায়ী করেছিলেন। নিহতের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষ জানান, পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য পরীক্ষা না দিয়ে ২০১২ সালের টেটে চাকরি পেয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছিলেন অমিত। সেই কথা প্রকাশ্যে আনতেই তাঁকে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছিলেন সুশান্ত ওরফে নান্টু। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি ২০১২ সালের প্রাথমিক টেটেও দুর্নীতি হয়েছে?

ওদিকে শনিবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলির একাধিক ঠিকানায় তল্লাশির সময় তাঁর একটি ফ্ল্যাটের প্রোমোটার অয়ন শীলের খবর পান ইডির গোয়েন্দারা। তাঁর বিধাননগরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা ২০১২ সালের প্রাথমিক টেটের চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পান।

কাকতালীয় এই ২ ঘটনা পর পর প্রকাশ্যে আসতেই ২০১২ টেটে দুর্নীতির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। এব্যাপারে মামলা দায়ের করে মামলাকারীকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।