আত্মঘাতী কলকাতায় থিমপুজোর ‘জনক’ বন্দন রাহা

আত্মঘাতী হলেন কলকাতায় থিমপুজোর স্রোষ্টা বন্দন রাহা। মঙ্গলবার কলকাতা লাগোয়া বাগুইআটিতে দাদার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন শিল্পী। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মাস ছয়েক আগে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তার পর থেকে অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি।

অসুস্থ ছিলেন বন্দনবাবু

বন্দনবাবুর দাদা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর থেকে ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল। আমরাই ওর দেখাশোনা করতাম। মঙ্গলবার আমি স্ত্রীকে ট্রেনে তুলে দিতে বেরিয়েছিলাম। তখনও ওর মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করিনি। ফিরে এসে দেখি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া পাইনি। তার পর দরজা ভাঙি। দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ও।

জানা গিয়েছে, বন্দনবাবুর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। সেজন্যও মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন তিনি। ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

থিমপুজোর ‘জনক’ 

২০০১ সালে কলকাতায় থিমপুজোর সূচনা বন্দন রাহার হাত ধরেই। সেবার মাটির ভাঁড় দিয়ে কসবার বোসপুকুর শীলতামন্দিরের মণ্ডপ বানিয়েছিলেন তিনি। সেই মণ্ডপ দেখতে জনতার ঢল নেমেছিল মণ্ডপে। কলকাতা তো বটেই শহরতলি থেকে বহু মানুষ গিয়েছিলেন মণ্ডপ দেখতে। সেই প্রথম কলকাতায় নির্দিষ্ট কোনও জিনিস দিয়ে মণ্ডপ বানানোর চল হয়। বন্দন রাহার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শিল্পীমহল।