তৃণমূল নেতারা এলাকা ছাড়তেই জল – ঝাঁটা দিয়ে উঠোন ধুলেন বগটুইয়ে নিহতের পরিবার

বগটুই গণহত্যার বর্ষপূর্তিতে নিহতদের পরিবারের ক্ষোভ টের পেয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকতে বাধা পান। তাঁদের অভিযোগ, গত ১ বছরে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াননি আশিস। আর তৃণমূল নেতৃত্ব এলাকা ছাড়তে জল দিয়ে উঠোন ধুলেন নিহতের পরিবারের সদস্য। বললেন, তৃণমূল নেতারা আসায় অপবিত্র হয়ে গিয়েছিল উঠোন।

সাধারণত বিজেপি নেতারা কোথাও সভা – সমাবেশ করলে সেখানে পরদিন গঙ্গাজল ছেটাতে পৌঁছে যায় তৃণমূল। আর এব্যাপারে তাদের প্রধান টার্গেট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বগটুইয়ে ঘটল সম্পূর্ণ উলটো ঘটনা। তৃণমূল নেতারা বাড়ি ছাড়তেই জল দিয়ে উঠোন ধুলেন নিহতের পরিবারের সদস্য।

মঙ্গলবার বগটুইয়ে নিহতের সম্মান জানাতে বানিলাল শেখের বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। কিন্তু আশিসবাবুকে দেখেই বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন বানিলালের দাদা মিহিলাল শেখ। বলেন, আশিস বন্দ্যোপাধ্যাকে কোনও অবস্থাতেই বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না তাঁরা। অভিযোগ তোলেন, গত ১ বছরে আশিসবাবু তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। মিহিলালকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। প্রায় ১০ মিনিট দড়িটানাটানির পর আশিসবাবুকে ছাড়াই বাড়িতে ঢোকেন তৃণমূল নেতারা।

তাঁরা বেরোতেই জল ঝাঁটা নিয়ে উঠোন ধুতে শুরু করেন মিহিলালের দিদি মেরিনা বিবি। তখনও সাংবাদিকরা এলাকা ছাড়াননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতারা আসায় উঠোন অপবিত্র হয়ে গিয়েছে।

বগটুই গণহত্যা প্রথম থেকেই তৃণমূলের গলার কাঁটা। প্রথমে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে চালানোর চেষ্টা হলেও সিবিআই তদন্তে প্রমাণ হয়ে যায়, তৃণমূলের কোন্দলেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ১০ জনকে। তার পর থেকে লাগাতার ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করে যাচ্ছে শাসকদল। কিন্তু সম্প্রতি সাগরদিঘির হার, তার পর বগটুইয়ে ঘাড়ধাক্কা প্রমাণ করে দিল বগটুইয়ের ক্ষোভ কমেনি এতটুকু।