US on intelligence to India: মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০২২-তে চিনের আগ্রাসন রুখেছিল ভারত? মুখ খুলল US

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কি ২০২২ সালে সীমান্তে চিনের সামরিক আগ্রাসন রুখে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা? একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট উত্তর দিল না হোয়াইট হাউস। অর্থাৎ গোয়েন্দা তথ্য প্রদানের কথা স্বীকার করতে চায়নি আমেরিকা। আবার অস্বীকারও করা হয়নি। হোয়াইট হাউসের কৌশলগত যোগাযোগের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কার্বি সংক্ষিপ্ত জবাবে শুধু বলেন, ‘না, আমি এটা নিশ্চিত করতে পারব না।’

সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজের একটি প্রতিবেদনে সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, গত বছর হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সামরিক আগ্রাসনের চেষ্টা করেছিল চিন। ভারতীয় সেনার সঙ্গে ‘অভূতপূর্ব’ গতিতে গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নিয়েছিল আমেরিকা। তার জেরে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। শুধু তাই নয়, বেআইনিভাবে নিজেদের সীমান্ত লাগোয়া এলাকা দখলের যে নীতি নিয়েছিল চিনের কমিউনিস্ট পার্টি, সেই নীতি পর্যালোচনাও করতে বাধ্য হয় বেজিং। 

সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত বছর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের অবস্থান নিয়ে প্রথমবার রিয়েল-টাইম তথ্য প্রদান করেছিল আমেরিকা। চিনা সেনার অবস্থান নিয়ে উপগ্রহচিত্র, অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজটা এতটা দ্রুত করা হয়েছিল, যা কখনও হয়নি। আর সেই গোয়েন্দা তথ্য দ্রুত হাতে পাওয়ার ফলও পেয়েছিল ভারত। যখন গদা-সহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে চিনা সেনা সীমান্তে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছিল, তখন একেবারে প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনা। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। কয়েকজনের আঘাত লেগেছিল। আর পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়েছিল চিন।

আরও পড়ুন: India China Face-off in Arunachal: তাওয়াঙে কাশ্মীর রাইফেলস, জাট রেজিমেন্টের মারে কীভাবে হাওয়া বের হয় চিনের?

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘(চিনা সেনার জন্য) ওরা (ভারতীয় সেনা) অপেক্ষা করছিল। কারণ ওটার (চিনার সামরিক আগ্রাসন) জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য ভারতকে সবরকম তথ্য প্রদান করেছিল আমেরিকা।’ ওই সূত্র আরও বলেছেন, ‘এটা থেকেই দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সমন্বয় এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেওয়ার সাফল্যের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন: General Naravane on Tawang Clash: ‘গুলি চালাতে পারি’, চিনা PLA-কে ‘প্রাগৈতিহাসিক গুন্ডা’ বলে তোপ জেনারেল নারাভানের

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারত এবং চিনের সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেই গত বছর ৯ ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সামরিক আগ্রাসনের চেষ্টা করেছিল চিন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রায় ৩০০ ফৌজিকে নিয়ে তাওয়াং সীমান্তের কাছে জড়ো হয়েছিল চিনা সেনা। পালটা জবাব দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের সেনা। তাতে ভারতীয় সেনার কয়েকজন সদস্য জখম হন। তবে আগ্রাসন দেখাতে এসে মুখ পড়েছিল চিনের। কারণ চিনের বেশি ফৌজি আহত হয়। সেইসময় একাধিক সূত্রের দাবি ছিল, সীমান্তে ভারতের প্রস্তুতি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল চিনা সেনা।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)