ফ্ল্যাট আছে কিন্তু অয়ন সেখানে যেতেন না, সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন শ্বেতা

অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে বহুচর্চিত নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্বেতা। জানিয়েছেন, ইডি ডাকলেই হাজিরা দেবেন তিনি।

এদিন শ্বেতা সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সালে ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন তিনি। তখন সেখানে চাকরি করতেন অয়ন শীলও। সেই সূত্রেই দুজনের পরিচয়। তিনি বলেন, অয়ন শীলকে আমি প্রোমোটার হিসাবে চিনতাম। আমি তাঁর কাছ থেকে চুঁচুড়ায় একটা ফ্ল্যাট কিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করানো হয়নি। এর পর সেই ফ্ল্যাটের দাম আমার অ্যাকাউন্টে ফেরত দেন অয়ন।

অয়নের ছবিতে কাজ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অয়নের বেশ কয়েকটি শর্ট ফিল্মে আমি কাজ করেছি। কাজ করেছি কবাড্ডি কবাড্ডি সিনেমায়। কিন্তু সেজন্য আজ পর্যন্ত কোনও পারিশ্রমিক পাইনি। তবে অয়নবাবু আমাকে একটি গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছেন।

কামারহাটির ফ্ল্যাটে মামা – ভাগ্নী পরিচয়ে সহবাসের অভিযোগ অস্বীকার করে শ্বেতা বলেন, কামারহাটিতে আমার ফ্ল্যাট আছে এটা সত্যি কথা। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটে অয়ন যেতেন একথা সত্যি নয়। আমার নামে অপপ্রচার হচ্ছে। আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ওর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩২ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে বলে শুনলাম। কিন্তু সবাই মিলে আমার পিছনে পড়ল কেন? ইডি হানার খবর তিনি অয়নকে দেননি বলেও দাবি করেছেন পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এই তরুণী। বলেন, অয়নের দুর্নীতির ব্যাপারে কিছু জানতাম না। তাঁর কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। তাঁকে চিনতাম প্রোমোটার হিসাবে।

বলে রাখি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে এসেছে নৈহাটির বাসিন্দা শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা গিয়েছে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।