Adenovirus: আবার বিসি রায় হাসপাতালে একসঙ্গে ৬ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাস আতঙ্ক

শিশুমৃত্যু কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। অ্যাডিনোভাইরাস আতঙ্ক কপালে ভাঁজ পেলেছে। কারণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে রাজ্যজুড়ে শিশুমৃত্যু। মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত ফুলবাগানের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া উপসর্গ নিয়ে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত ১৪৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে গোটা বাংলায়। আর সকলেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে।

এবার মৃত্যু হয়েছে নদিয়া রানাঘাটের বাসিন্দা ৯ মাসের শিশুপুত্রের। পরিবারের দাবি, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল ওই শিশুটি। টানা পাঁচদিন ধরে আইসিইউ–তে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। ভোররাতে মৃত্যু হয়েছে তার। হাসপাতাল জুড়ে শুধু কান্নার রোল। কোল খালি হওয়া মায়েদের কান্না, হাহাকার। অসহায় অবস্থায় ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবারা। শিশুদের সংক্রমণ নিয়ে রোগের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। অ্যাডিনোভাইরাস–সহ অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (‌এআরআই)‌ রোধে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা ২১ মাসের এক শিশুকন্যারও মৃত্যু হয়েছে। অ্যাডিনোভাইরাস উপসর্গ নিয়ে প্রথমে বারাসত হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। গত ১৫ মার্চ থেকে বিসি রায় হাসপাতালের আইসিইউ–তে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। এই পরিস্থিতিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক সচেতনতার কাজটি করতে বলা হয়েছে। একই কাজ আশা কর্মীদেরও করতে বলা হয়েছে। প্রোটোকল মেনে চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নজরদারির পরামর্শ দিয়েছে এই টাস্ক ফোর্স।

অন্যদিকে একই উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বাসিন্দা ১১ মাসের শিশু পুত্রের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি ছিল ১১ মাসের ওই শিশু। এখানে বনগাঁ চাঁদপাড়ার বাসিন্দা সাড়ে চার মাসের শিশুকন্যারও মৃত্যু হয়েছে। তারও জ্বর, শ্বাসকষ্ট ছিল। আবার সন্দেশখালির বাসিন্দা দেড় বছরের শিশুপুত্রকে বিসি রায় হাসপাতালের আইসিইউ–তে ভর্তি করা হয়। তাকেও বাঁচানো যায়নি। আর বড় জাগুলিয়ার বাসিন্দা তিন বছরের শিশুপুত্রকেও বাঁচানো গেল না। অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল শিশুটি বলে দাবি পরিবারের।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup