Buxa Forest: বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হল চিতল হরিণ, বাঘমামারাও কি আসবে?

বক্সায় বাঘ আছে কি না তা নিয়ে নানা সময় নানা চর্চা হয়েছে। তবে বাঘ মামাদের জন্য এবার বক্সায় ছাড়া হল চিতল হরিণ। বাঘেদের খাবারের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেকারণেই এই হরিণ ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বনদফতর সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ১৯০টি হরিণ ছাড়া হয়েছে বক্সায়। গত ১৭ মার্চ ৮৬টি হরিণ ছাড়া হয়েছিল। আর সোমবার ছাড়া হল ১০৪টি হরিণ।এদিকে এর আগেই ৫০০ হরিণ ছাড়া হয়েছিল বক্সায়। বনদফতর জানিয়েছে, বীরভূমের বল্লভপুর জঙ্গলে এই হরিণগুলি ছিল। সেখানে থেকে গাড়িতে চাপিয়ে হরিণগুলিকে নিয়ে এসে বক্সার জঙ্গলে ছাডা় হয়েছে।

এদিকে বক্সার জঙ্গলে বাঘ রয়েছে কি না তা যথেষ্ট তর্কসাপেক্ষ। তবে অতীতে একাধিক ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বাঘের ছবি। তারপর বনদফতর মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় যে বক্সার জঙ্গলে বাঘ রয়েছে। ভুটানের জঙ্গল থেকে বাঘ বক্সার জঙ্গলে চলে আসে বলে মনে করা হয়। তবে এবার সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি হরিণ ঘুরে বেড়াচ্ছে বক্সার জঙ্গলে। পর্যটকরা গেলে সেই হরিণের মুখোমুখি হয়ে যেতে পারেন । 

তবে বক্সার জঙ্গলে বাঘ ছাডা় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কথাবার্তা রয়েছে। এনিয়ে নানা সমীক্ষাও হয়েছে। তবে বাঘ ছাড়ার ক্ষেত্রে নানা ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ বক্সার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় একাধিক বনবস্তি রয়েছে। যদি বক্সায় বাঘ ছাড়া হয় তবে সেই বনবস্তির বাসিন্দাদের প্রাণ সংশয় হতে পারে। সেকারণে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলছে বনদফতর। সব দিকে বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচছে। তবে চিতাবাঘের খাবারের জন্যও হরিণের প্রয়োজন হয়।

তবে প্রাথমিকভাবে দেখা হচ্ছে বক্সার জঙ্গলে যদি আগামীদিনে বাঘ ছাড়াও হয় তবে তাদের খাবারের অভাব যেন না হয়। কারণ বাঘের খাবারের অভাব হলেই তারা লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে হাজির হবে। তখন একদিকে যেমন মানুষের প্রাণ সংশয় হতে পারে, তেমনি বাঘের ক্ষেত্রেও সমস্য়া হতে পারে। সেকারণে আগে জঙ্গলে বাঘের খাবারটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন একটাই আবার কি বক্সার জঙ্গলে বাঘ ছাড়া হবে? তবে সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে অবশ্য় এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে। তবে ঠিক কোথা থেকে বাঘ নিয়ে আসা হবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। অসম থেকে বাঘ নিয়ে আসা হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে।