IND Vs AUS, 3rd ODI: We’ve Narrowed It Down To 17-18 Players For 2023 ODI World Cup: Dravid


চেন্নাইঃ ঘরের মাঠে বছর শেষে বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। ইতিমধ্যেই ৮টি ম্যাচ তারা খেলে ফেলেছে ঘরের মাঠে। তিনটি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে, তিনটি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও তিনটি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। যার শেষ ম্যাচটি হতে চলেছে আজ। আর এই সিরিজগুলো থেকেই বিশ্বকাপের (World Cup 2023) একটা কোর টিম তৈরি করে নিতে চান ভারতীয় দলের হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় (IND vs AUS)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে-তে নামার আগে সেই কথাই জানিয়ে দিলেন তিনি।

কী বলছেন দ্রাবিড়?

গত কয়েকটি ওয়ান ডে ম্যাচে একাধিক কম্বিনেশনে খেলেছে  ভারতীয় দল। সেখান থেকেই সঠিক কম্বিনেশন বাছাই করে নিতে চাইছে দল। ভারতীয় দলের হেডস্যার বলছেন, ”আমরা যত বেশি সম্ভব ম্যাচে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেদের সঠিক কম্বিনেশনটা দেখে নিতে চাইছি। বিশ্বকাপের আগে যা আমাদের জন্য খুবই দরকার। এই মুহূর্তে আমরা দলে একাধিক পরিবর্তন করছি। একাধিক কম্বিনেশনে খেলছি। তার কারণ, আমরা চাইছি যে বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল বেছে নেওয়ার সম

যাতে কাজটা সহজ হয়।”  

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে ১০ ওভারের বেশি বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। যে ম্যাচে দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন কেএল রাহুল। যদিও ভাইজ্যাগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কার্যত ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে। ১১৭ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। মিচেল স্টার্কের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দাপটে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে ভারতের যেটি সবথেকে বড় ব্যবধানে হার। 

প্রসঙ্গত, চেন্নাইয়ের পিচ সাধারণত স্পিনারদেরই সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের নিচে বরাবর রান তাড়া করার কাজটা খানিক সুবিধা হয়ে দাঁড়ায়। গত একদিনের ম্যাচে লাইটের নিচে ২৮৮ রান তাড়া করে ম্যাচ বের করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে গত বেশ কয়েকটি ম্যাচের খতিয়ান দেখলে বলতে হয়, প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তোলা দলই জিতেচে বেশিরভাগ ম্যাচে। পরে ব্যাট করতে নেমে রান তাড়া করার কাজটা হয়ে ওঠে কঠিন। কারণ, খেলা যত এগোয়, পিচ ততই আরও রুক্ষ হতে থাকে। আর যার জেরে ক্রমশ বাড়তি সুবিধা পান স্পিনাররা।

প্রথমে ব্যাট করার ক্ষেত্রে বল তুলনামূল ভালভাবে ব্যাটে আসে। যার জেরে সুবিধা হয় স্ট্রোক প্লে-তে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার ক্ষেত্রে যা হয়ে ওঠে কঠিন। পাশাপাশি পিচ রুক্ষ ও স্পিন সহায়ক হয়ে ওঠার পেসারদের ক্ষেত্রে গতির থেকেও উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি প্রাধান্য পায় বোলিংয়ের বৈচিত্র্য। চেন্নাইয়ের মাঠে খেলা ২১ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ধরলে সেখানে গড় স্কোর ২৫৯ রান।