আজ, বুধবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরে পায়ে হেঁটেই প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে মন্দির সংলগ্ন চত্বরে উপচে পড়েছিল ভিড়। দূর থেকে বহু মানুষকে দেখা গেল হাত নাড়তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে। সেবায়েতদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস–উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। নিজের হাতে এদিন মন্দিরের প্রধান সেবায়েতকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুরীতে এবার গেস্ট হাউস তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
এদিকে বাঙালির প্রিয় ছুটি কাটানোর ঠিকানা পুরী। প্রত্যেক বছর হাজার হাজার পর্যটক জগন্নাথ দর্শন এবং সমুদ্রস্নানের জন্য এখানে আসেন। সেই জগন্নাথধামে এবার গেস্ট হাউস তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেই গেস্ট হাউসের জন্য সম্ভাব্য জমি পরিদর্শন করলেন। এখানে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিছুটা বাংলা–ওড়িয়া ভাষা মিলিয়ে মনের ভাব ব্যক্ত করলেন।
অন্যদিকে ওড়িশা সফরে দ্বিতীয় দিনেই তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন জমি দর্শনে। খোদ ওড়িশা সরকারের মুখ্যসচিব তাঁকে প্রস্তাবিত বঙ্গভবনের জন্য জমি দেখান। চিল্কা রোডের ত্রিপুরের বালিয়াপণ্ডা এলাকায় জমি দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। তাই পাশের জমিটি দেখে রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জগন্নাথ মন্দির এবং সমুদ্র সৈকতের কাছে জমি খুঁজছেন তিনি। কতটা জমি এখানে পাওয়া যাবে সেটা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? বাংলার মানুষের মঙ্গলকামনা করে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘জয় জগন্নাথ। আমি খুব খুশি। পুরী বাঙালিদের কাছে সেকেন্ড হোম। আমি জানি বাংলার বহু পর্যটক ওড়িশায় আসেন। পুরীতে আসেন। এখানে রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস থাকলে পর্যটকদের সুবিধা হবে।’ বাংলা– ওড়িয়া মিশিয়া নিজের ভাল লাগার কথা জানাতে বলেন, ‘আমি খুশি আছুন্তি। জমি দেখুন্তি, পছন্দ হুন্তি। কাল নবীনজিকে সাথ মিলুন্তি। অনেকদিন ধরেই আমার ইচ্ছে ছিল পুরীতে রাজ্য সরকারের একটা নিবাস গড়ে তোলার। এবার সেটা পূর্ণতা পেতে চলেছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup