নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন প্রোমোটার অয়ন শীল। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করতেই তাঁর ইতিহাস–ভূগোল বের হতে শুরু করে। তাতে অয়নের সঙ্গে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম প্রকাশ্যে এসে পড়ে। আর সেই সম্পর্ক নিয়ে চলছে জোর চর্চা। কিন্তু এখানে দুটি আলাদা নারী হওয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়েছে অন্যজনের। যিনি এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। আর ছবির ভ্রান্তিবিলাসে বিড়ম্বনায় পড়ে অন্য শ্বেতার একটাই সুর, ‘আমি নই, আমি নই, আমি নই।’
কোন শ্বেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অয়নের? নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে গ্রেফতার হয়েছেন প্রোমোটার অয়ন শীল। তিনি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে প্রমাণ পেয়েছেন ইডির অফিসাররা। অয়ন গ্রেফতার হতেই তাঁর জীবনে নারী শ্বেতার সম্পর্ক উঠে আসে। পুরো নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। তিনি কামারহাটি পুরসভায় কাজ করেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়নের সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক ছিল। তাই অয়নকে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন এই রহস্যময়ী শ্বেতা। ইডি আসার আগাম খবর তিনি অয়নকে দিয়েছিলেন। কামারহাটি পুরসভাতে কাজ করার পাশাপাশি অভিনয় এবং মডেলিং করতেন শ্বেতা চক্রবর্তী।
আর অন্যজন ঠিক কে? এই নারীর নাম–পদবি এক হলেও অয়ন শীলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডেও তিনি জড়িত নন। অথচ তাঁর ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এক নাম–পদবি হওয়ায় ভ্রান্তিবিলাস হয়েছে অনেকের। আর এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই বিপাকে পড়েছেন অপর শ্বেতা চক্রবর্তী। এই শ্বেতা চক্রবর্তীর আর একটা নাম রয়েছে পায়েল। বাধ্য হয়ে তাঁকে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে হল। আর জানাতে হল আসল পরিচয়।
ঠিক কী বক্তব্য অপর শ্বেতার? সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি ভাইরাল হয়েছে দেখে খুব রেগে যান তিনি। তারপর মাথা ঠাণ্ডা করে সত্যকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি কামারহাটি পুরসভায় কাজ করি না। আগে মডেলিং করতাম। এখন অনেকটাই ফোকাস অনলাইন কনটেন্টর দিকে। আমার প্রোফাইলেও মডেল এবং অভিনেত্রী লেখা। তাই অনেকে ভুল করেছে। কিন্তু, আমি সেই শ্বেতা নই যাঁকে ওরা খুঁজছেন বা নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠেছে। আমার বাড়ি গড়িয়ায়। অনেকেই দেখছি আমার ছবি ব্যবহার করছে। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। অনেকেই ফোন করছেন। যদিও তাঁর সঙ্গে আমার মুখের কোনও মিল নেই। সেক্ষেত্রে কেন অহেতুক আমাকে টানা হচ্ছে তা বুঝলাম না।’