অনুন্নয়নের অভিযোগ, নিজের ওয়ার্ডে চোর চোর স্লোগান তুলে তাড়া রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে

এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে উদ্দেশ করে উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে পুরসভা ভবন যাওয়ার পথে কোচবিহার শহরে নিজের ওয়ার্ডে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এমনকী পুরপ্রধানের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। পুরসভায় পৌঁছে রবি ঘোষের দাবি, এর পিছনে অসামাজিক শক্তি রয়েছে।

এদিন দুপুরে গাড়ি করে বাড়ি থেকে কোচবিহার পুরসভায় যাচ্ছিলেন রবিবাবু। পথে নিজের ওয়ার্ডেই এসিডিসি ক্লাবের সামনে তাঁর গাড়ি দাঁড় করান কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, উন্নয়নের আশায় পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা। যার ফলে পুরপ্রধান হয়েছেন রবিবাবু। কিন্তু পুরভোটের পর বছর ঘুরতে চললেও এলাকায় উন্নয়নের দেখা নেই। অভিযোগ শুনতে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রবিবাবু। তখন তাঁকে ধাক্কা দিতে দেখা যায় কয়েকজনকে। এর পর ফের গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি। তখন তাঁকে টেনে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করেন কয়েকজন। সঙ্গে বলতে থাকেন, ‘ভিখারি চেয়ারম্যান’, ‘চোর চোর’। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রবিবাবুর পথ আটকাতে দেখা যায় কয়েকজনকে। এর পর নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে কোনওক্রমে এলাকা ছাড়েন তিনি।

পৌরসভায় পৌঁছে সাংবাদিকদের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এটা কোনও বিক্ষোভ নয়। কিছু সমাজবিরোধীকে আমাকে হেনস্থা করতে পাঠানো হয়েছিল। এর পিছনে কারও হাত রয়েছে। এরা উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না।

স্থানীয় বিজেপির তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে এই বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, পুরসভা থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা টাকা কর নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা পরিষেবা পাচ্ছেন না। সাধারণ মানুষও পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এতদিন সন্ত্রাস কায়েম করে তৃণমূল সবার মুখ বন্ধ করে রেখেছিল। এখন এদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। তার ফলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।