প্রেসিডেন্সি জেলে বসে ষড়যন্ত্র হয়েছে, পার্থর অভিযোগ খারিজ করে বললেন শুভেন্দু

তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগে সুপারিশের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকালে এই নিয়ে দলের এক মুখপাত্রের টুইটের ৩০ মিনিটের মধ্যে একই কথা শোনা গিয়েছে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, গোটা এই চিত্রনাট্য রচনা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। নাম ফোন নম্বর দিয়ে জেল সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘প্লটটা রেডি হয়েছে গতকাল। দেবাশিস চক্রবর্তী, যিনি প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। তার ফোন নম্বর হচ্ছে ৯৪৩৪৪৮৯৫৬৩ ও ৯৫৯৩৬৭৫৬৬৫। আমরা দাবি করছি, ৩০ মিনিট আগে যিনি টুইট করেছেন। সাড়ে তিন বছরের জেলখাটা মাল, সারদার মাল। সেই মালটাকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক আর দেবাশিস চক্রবর্তীকে ধরুক। ওর ফোন নম্বরগুলো আমি দিয়ে দিলাম। ও হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা বলেছে খুঁজে বার করুন’।

শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টে থেকে ৪টে ১৫ পর্যন্ত দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী ছিলেন। একজন মহিলা আইনজীবী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে ছিলেন আর দেবাশিস চক্রবর্তী ছিলেন। ওই সময় প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক। ওর ২টো মোবাইল ফোন নিয়ে নিক। আর সাড়ে তিন বছরের জেলখাটা মাল টুইট করার তথ্য কোথা থেকে পেল, যার সঙ্গে ৩০ মিনিট পরে ৮ মাসের জেল খাটা মালটার তথ্য মিলে গেল সেটা মিলিয়ে নিলেই সব স্পষ্ট হবে। এসব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না’।

এদিন আদালতে পেশের সময় পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড়বড় কথা বলছেন তারা নিদের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন। তারা ২০০৯ – ১০ এর সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে, যেহেতু আমি তাদের বলেছি যে আমি করতে পারব না। আমি নিয়োগকর্তা নই। কোনও রকম সাহায্য তো দূরের কথা, আমি এব্যাপারে কোনও বেআইনি কাজ করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ১১ – ১২ সালটা দেখুন না। DPSCটা দেখুন না। কী করেছিল তারা’।