চাকরির জন্য টাকা নিত না বামেরা, দলের লোকজনরা পেত, ফারাকটা বোঝালেন শুভেন্দু

নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। তখনই আদালতের পথে বাম জমানার কয়েকজনের নাম ভাসিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে বাম আমলের স্বজনপোষণের অভিযোগকে সামনে এনে তিরের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে সেই পরিস্থিতিতে এবার বাম জমানার সেই তথাকথিত দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই তিনি বিমান বসুর জীবন চর্চার প্রশংসা করেছেন। এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী বাম জমানার চাকরি পাওয়ার পদ্ধতিগত দিকটা উল্লেখ করলেন। প্রসঙ্গত তিনি অবশ্য় বাম জমানার শেষের দিকে তৃণমূলেই ছিলেন।

শুভেন্দু বলেন, বাম আমলে আমিও রাজনীতি করেছি। কিন্তু শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। সেই সময় প্রাথমিকে আর শিক্ষাকর্মী পদে ব্যাপক নিয়োগ হয়েছিল। বামেরা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। শুধু দলের ক্যাডারদের চাকরি দিয়েছে। জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কীভাবে এই স্বজনপোষণ হত তা নিয়েও জানিয়েছেন তিনি। তবে এর পেছনে যে আর্থিক লেনদেন সেভাবে ছিল না সেকথাও জানিয়েছেন শুভেন্দু।

তিনি বলেন, সেই সময় নিয়োগের দায়িত্বে থাকত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। সেই সুযোগই নিয়েছিল বামেরা। তাঁর দাবি কলেজের চাকরির ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির অনিয়ম হয়ে থাকলেও তা প্রমাণ করা যে সম্ভব নয় সেটাও জানিয়েছেন তিনি। হাতে লেখা চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরির দুর্নীতি যে প্রমাণ করা সম্ভব নয় সেটাও জানিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গেই শুভেন্দুর দাবি, সিপিএম হোলটাইমারদের আত্মীয়দের চাকরির ব্যবস্থা করে দিত। যাতে তারা দলকে বেশি সময় দিতে পারে।

মোটের উপর তিনি জানিয়েছেন, টাকা নিয়ে বাম জমানায় চাকরি হয়নি। তবে স্বজনপোষণ যে হয়েছিল তা তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাম আমলে স্বজনপোষণ যে হয়েছিল তার বড় প্রমাণ জলপাইগুড়িতে বাম আমলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্যানেল বাতিলের ঘটনা। সেই জেলা বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বের একের পর এক আত্মীয়র চাকরির বিষয়টি সামনে আসে। তার সঙ্গেই একাধিক বাম নেতার আত্মীয় স্বজনদের ঘুরপথে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছিল। তবে তখন কোনওভাবেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসেনি। ঠিক যেমনটা বর্তমান জমানায় আসছে। ফারাকটা এখানেই। তাতেই আলো ফেললেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ শুভেন্দু অধিকারী।