Duare Sarkar April camp: পঞ্চায়েত ভোটের আগে কষে কোমর বেঁধে দুয়ারে সরকার, দ্রুত তথ্য যাচাইয়ে বিশেষ টিম

১ এপ্রিল থেকে রাজ্য ফের শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটাই শেষ দুয়ারে সরকার কর্মসূচি বলা যেতে পারে। তাই এই শিবিরকে অভিযোগবিহীন করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

এবারের দুয়ারে সরকার শিবির হবে দু’টি পর্বে। প্রথম দশ দিন ধরে চলবে আবেদন জমা নেওয়ার কাজ। বাকি দশ দিন চলবে সমাধানের কাজ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই শিবিরকে আরও নিখুঁত করতে চাইছে রাজ্য সরকার, যাতে কোনও অভিষোগই নিষ্পত্তিবিহীন না হয়ে পড়ে থাকে। এর জন্য এসওপি (স্ট্যার্ডাড অপরারেটিং প্রসিডিওর) বা নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি প্রকাশ করেছে নবান্ন। এই এসওপি অনুযায়ী তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়লে দ্রুত তা সন্ধান করার জন্য বিশেষ টিম তৈরি করা হচ্ছে।

কর্ম নির্দেশিকা অনুযায়ী, দুয়ারের সরকাররে আগে থেকে ব্যাপকহারে প্রচার চালাতে হবে। উপভোক্তারা কী কী সুবিধা পাবেন এই শিবিরে তা পোস্টার দিয়ে জানাতে হবে। ২০ দিনের শিবিরে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়বে তা সেইদিনই এন্ট্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি ব্লক ও জেলাস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলার কথা বলা হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে উপভোক্তাকে ফোন করে জানানো হবে তাঁর আবেদন করা পরিষেবা তিনি কখন পাবেন। যদি আবেদন বাতিল হয় তাও কট্রোল রুম থেকে ফোন করে জাানো হবে। শুধু তাই নয়, কেন আবেদন বাতিল হল তাও জানানো হবে। কট্রোল রুমগুলিতে অন্তত তিনটি ফোন লাইন থাকবে। কোন উপভোক্তাকে কখন ফোন করা হচ্ছে তা নথিভুক্ত রাখতে হবে।

(পড়তে পারেন। মার্চ থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেমে পড়ল নবান্ন, জানুন কোন পথে) 

কর্ম নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, দুয়ারে সরকারে যে নতুন চারটি প্রকল্প যুক্ত করা হয়েছে তাও প্রচার করে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। প্রতি শিবিরে রাখতে হবে একটি অভিযোগ জানানোর বক্স। যদি উপভোক্তার কোনও অভিযোগ থাকে তাও তিনি ও বক্সে জানাতে পারবেন।

দুয়ারে সরকার শিবিরে হবে চোখ পরীক্ষা

এবার দুয়ারে সরকার শিবিরে চোখ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। রাজ্য সরকারের ‘চোখের আলো’ কর্মসূচি থেকে এটি বাস্তবায়িত করা হবে। এর জন্য জেলাশাসক ও সিএমওএইচকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যিনি চোখ পরীক্ষা করাবেন তাঁকে তিন দিন আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। অনেক নাম জমা হলে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে চোখ পরীক্ষা করা হবে। ৪৫ বছরের কম ও তার বেশি বয়সিদের দুটি আলাদা দলে ভাগ করে চোখ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলে গিয়ে চোখ দেখানোর ব্যবস্থাও করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছানি কাটাতে হলে তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করা হবে দুয়ারে সরকার শিবিরে।