Funds Saved: রাজ্যের কোষাগারের ৬০০ কোটি টাকা বাঁচল, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কি ঘটল?

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বাংলার প্রাপ্য প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। যা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। এই নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্কও তেতো হয়েছে। তার জেরে চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রাজ্যের কোষাগারে বাঁচল ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা। যা উন্নয়ন এবং সামাজিক প্রকল্পের কাজে লাগানো যাবে। কেন্দ্র যখন বকেয়া টাকা দিচ্ছে না তখন এভাবেই নিজেদের রাস্তা খুঁজে নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ ২০১৮ সালে চার সদস্যের একটি প্রজেক্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থ দফতরের অডিট ব্রাঞ্চের অধীনে এই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির কাজ হল প্রত্যেকটি প্রকল্পের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ আটকানো। গত পাঁচ বছরে রাজ্য সরকারের গৃহীত সব প্রকল্পই রূপায়িত হয়েছে এই কমিটির ছাড়পত্র নিয়ে। তাতে অনেকটা খরচ বাঁচে। প্রকল্পের সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি জড়িত রয়েছে। তাই পূর্ত দফতরের প্রাক্তন পদস্থ কর্তা শ্রীকুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাকি তিনজন সদস্য হলেন উত্তম কাঞ্জিলাল, বীরেন্দ্রনাথ দে এবং সিদ্ধার্থ দত্ত।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে রাজ্য অর্থ দফতর এই কমিটির কাজকর্ম নিয়ে একটি বিস্তারিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কোনও প্রকল্পে ১ কোটি, কোনও ক্ষেত্রে ৭০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ আটকানো সম্ভব হয়েছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই কমিটি গঠনের ফলে। সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের অপ্রয়োজনীয় খরচ ঠেকানো গিয়েছে। ২০২১ সালে একটি রিপোর্ট জমা পড়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বীর কাছে। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২১ সাল পর্যন্তই এই খাতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় খরচ ঠেকানো গিয়েছে। আর সেটা পরিমাণে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৭ কোটি টাকায়।

কাজটি কেমন করে হল?‌ প্রত্যেকটি প্রকল্পের ডিপিআর পাঠাতে হয় এই কমিটির কাছে। সুতরাং প্রকল্পের খরচ থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা দু’বার করে যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তার জন্য প্রকল্পের কাজ চালু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগলেও আটকানো যায় অপ্রয়োজনীয় খরচ। প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলেও তা শুরুতেই ধরা পড়ে।‌ এভাবেই বাঁচল রাজ্য কোষাগারের বিপুল পরিমাণ টাকা। তবে বকেয়া পেতে মুখ্যমন্ত্রী চলতি মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ ধরনায় বসছেন।