Operation: ছুরি কাঁচি নিয়ে অপারেশন করলেন ওষুধের দোকানের মালিক, মৃত্যু রোগীর

তিনি ওষুধের দোকানের মালিক। আর তিনিই আবার রোগীর অপারেশন করেছেন। তবে অপারেশনের পরে সেই রোগীর মৃত্যু হয়। তারপরেই ওই হাতুড়ে ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ সূত্রের খবর, এ রেহমান নামে ওই ব্যক্তির উত্তরপ্রদেশের খেজুরি এলাকায় একটি ওষুধের দোকান ছিল। তিনি মুন্না গুপ্তা নামে এক ব্যক্তির অপারেশন করিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির হাইড্রোসিলের সমস্যা ছিল। অপারেশনের পরেই তার অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছিল। আর সেই অপারেশনের পরেই সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই রেহমানকে গ্রেফতার করেছে।

গুপ্তার ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে রেহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়। গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রেহমান নামে ওই ওষুধ দোকানের মালিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তবে এর আগেও তিনি এই কীর্তি ঘটিয়েছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।

এদিকে এর আগে চেন্নাইতেও অনেকটা এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল। একজন দর্জির কাঁধে প্রবল যন্ত্রণা হচ্ছিল। সেই সময় ওষুধের দোকানের এক মালিক এক ব্যক্তিকে ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন। তারপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যুও হয়েছিল। পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

সূত্রের খবর, ৪২ বছর বয়সী মাধাং কুপ্পামের ঘাড়ে প্রচন্ড যন্ত্রণা হত। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে দেখাতেন। তবে পরে তিনি স্থানীয় একটি মেডিক্যাল স্টোরে যান। সেখানে তার ঘাড়ে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।

সেই সময় দেখা গিয়েছিল শুধু ওই ওষুধের দোকানটাকে কার্যত ছোটখাটো নার্সিংহোম হিসাবে ব্যবহার করা হত। সেখানে একাধিক বেডও ছিলেন। সেখানে স্যালাইন দেওয়া থেকে ইঞ্জেকশন দেওয়া সব কিছুই করা হত। সেখানেই তাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু হয়। ওই ওষুধের দোকানের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এদিকে এবারও উত্তরপ্রদেশের ওষুধের দোকানের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ওধুষের দোকানে সাধারণ মানুষ অনেক সময় ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ কিনে খান। তার পরিণতিও অনেক ক্ষেত্রে ভয়াবহ হতে পারে।