মাধ্যমিকে থার্ড ডিভিশন টিনা ভৌমিক প্রাথমিকে চাকরি পেল কী করে? প্রশ্ন তাপস সাহার

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এবার নিজের দলের নেত্রী টিনা সাহা ভৌমিকের দিকেই পালটা আক্রমণ শানালেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। কার্যত নেত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করে তাঁর চাকরি পাওয়াকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন বিধায়ক। পালটা টিনার দাবি, অডিয়ো টেপের কণ্ঠস্বর তাপসবাবুর না হলে তিনি আদালতে যাচ্ছেন না কেন?

দিন কয়েক আগে ভাইরাল হয় একটি অডিয়ো টেপ। তাতে দাবি করা হয়, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ককে একজনকে দমকলে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা চাইছেন। এর পরই মুখ খোলেন তাপসবাবু। দাবি করেন, ওই কণ্ঠস্বর তাঁর নয়। সঙ্গে তিনি বলেন, এসবের পিছনে রয়েছেন নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহা ভৌমিক। এদিন তাপসবাবু বলেন, মাধ্যমিকে যে থার্ড ডিভিশন। উচ্চ মাধ্যমিকে যে থার্ড ডিভিশন, সে বর্তমান যুগে চাকরি পেতে পারে না কি? উনি তো নম্বরগুলো আপনাদের দেখাতে পারতেন। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উনি বিজেপি করেছিলেন। আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাপস সাহার প্রশ্ন, টিনা সাহা কত বড় নেত্রী যে তাঁর বাড়ির সামনে ৩টে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। তাঁর স্বামী বিএড কলেজে অংশীদারিত্ব পেল কী করে?

এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে তাপসবাবুর অভিযোগ খণ্ডন করেন টিনা। নিজের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তুলে ধরে দেখান তিনি। দাবি করেন তাঁর নিয়োগ একশ শতাংশ বৈধ। সঙ্গে তাঁর দাবি, অডিয়ো টেপের কণ্ঠস্বর তাপসবাবুর না হলে ওনার আদালতে যাওয়া উচিত। তা না করে প্রকাশ্যে এসব কথা বলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন উনি।

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে তাপস সাহার। তাঁর আপ্তসহায়ককে গ্রেফতার করেছে তৃণমূল সরকারেরই পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাপস সাহাকেও তলব করেছিলেন তদন্তকারীরা।